সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামার প্রসঙ্গ তুলে চিন-রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীদের সামনে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব হলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতীয় বায়ুসেনা যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে সেই বিষয়েও বিদেশমন্ত্রীদের সামনে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন সুষমা৷ অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের মাটিকে ব্যবহার করে ভারতে রক্তপাত করছে জঙ্গিরা৷ দিনের পর দিন বিষয়টিকে এড়িয়ে চলেছে ইসলামাবাদ৷ পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিদের হানায় প্রাণ গিয়েছে অসহায় ভারতীয় জওয়ানদের৷ দুই শক্তিধর দেশের বিদেশমন্ত্রীকে তিনি আরও জানান, জইশ ভারতের কাছে বড় বিপদ৷ সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতেই মঙ্গলবার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে ভারত৷ এটা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই, কোনও দেশ বা সেনার বিরুদ্ধে নয়৷
[‘আমাদের ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে’, জইশ প্রধানের বিবৃতিতেই ফাঁস পাক দ্বিচারিতা ]
বুধবার চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের হুয়ানে চিনা বিদেশমন্ত্রী হুয়াং ই ও রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভারোভের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ৷ ২০১৮-র এপ্রিলে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে যে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ তোলেন সুষমা স্বরাজ৷ জানান, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে কূটনৈতিক ভাবে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলছে ভারত-চিন৷ পাকিস্তানকে কূটনৈতিক ভাবে প্যাঁচে ফেলতে এরপরই সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গ তোলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী৷ জানান, পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদ ভারতের অন্যতম মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে৷ নিজের দেশের মাটিকে সন্ত্রাসবাদীদের ব্যবহার করতে দিচ্ছে পাকিস্তান৷ যার ফল ভুগতে হচ্ছে ভারতকে৷ ক্রমাগত রক্তক্ষরণ হচ্ছে ভারতীয় জওয়ান ও সাধারণ মানুষের৷ এর প্রত্যুত্তর দিতেই মঙ্গলবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ কিন্তু ওই অপারেশন কেবলমাত্র সন্ত্রাবাদের বিরুদ্ধে, তা কোনও সেনা অপারেশন ছিল না৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিদেশমন্ত্রী অভিযোগ করেন, চলতি মাসেই পুলওয়ামায় হামলা করেছে পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিরা৷ যাতে শহিদ হয়েছেন সিআরপিএফ জওয়ানরা৷ এই আঘাতেরই প্রত্যাঘাত করেছে ভারত৷ কারণ, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি রয়েছে ভারত সরকারের৷
[ভারতের প্রত্যাঘাতের পর পাকিস্তানের পাশে নেই চিনও!]
উল্লেখ্য, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের পর এখন সবদিক থেকেই ধরাশায়ী পাকিস্তান। দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য ইমরান খানের দেশ। এমনকী, দুঃসময়ের বন্ধু চিনও সাহায্যের আশ্বাস দেয়নি। মঙ্গলবারের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর পাকিস্তান আশা করেছিল চিনের তরফে ভারতকে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতি সহমর্মিতা দেখাবে চিন। সেই উদ্দেশ্য হামলার পর চিনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও খুব একটা সুবিধে হয়নি। সরাসরি ভারতকে কোনও কটূ কথা শোনায়নি জিংপিং প্রশাসন। বরং ড্রাগনের দেশের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, “আমাদের আশা ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশই এই পরিস্থিতিতে সংযম বজায় রাখবে। এবং এমন পদক্ষেপ করবে যাতে এই পরিস্থিতি শান্ত হয় এবং দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতি হয়।”
EAM: It wasn’t a military op, no military installation targeted. Objective was to act against terrorist infrastructure of JeM to preempt another terror attack in India. India doesn’t wish to see further escalation of situation. It’ll continue to act with responsibility&restraint. pic.twitter.com/oEJWksZlsa
— ANI (@ANI) February 27, 2019
EAM: In the light of continuing refusal of Pak to acknowledge&act against terror groups on its territory&based on credible info that JeM was planning other attacks in parts of India, GoI decided to take preemptive action&target was selected in order to avoid civilian casualties. pic.twitter.com/9g08wQOkZ9
— ANI (@ANI) February 27, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.