সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা-মেয়ের সম্পর্ক তো মধুরই ছিল। নিজের প্রশাসনিক কাজেও মেয়ের পরামর্শ ছাড়া প্রায় কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। এই মুহূর্তে মার্কিন প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর নাম ইভাঙ্কা ট্রাম্প। কিন্তু বাবার সঙ্গে এমন কী হল মেয়ের যে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে চান ইভাঙ্কা? একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে। তাঁর কথায় বোঝা গেল, বাবা যদি সামনের বারও প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যেতে পারেন। কারণ, রাজনীতি তাঁর কাছে আর তেমন আগ্রহের বিষয় নেই।
২০২০ তে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার জন্য প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও সে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বলছে, প্রতি ৫ বছর অন্তর ক্ষমতা হস্তান্তর হয় রিপাবলিক এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। তাই পরেরবার রিপাবলিকান ট্রাম্পের ফেরার সুযোগ খুবই ক্ষীণ। তবু ভোটের ফলাফল তো আগে থেকে নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। কোনও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। হতেই পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে ফের বসবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁর মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্পের পদক্ষেপ কিন্তু অন্যরকম হতে চলেছে। অন্তত সাংবাদিকদের তিনি তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। ইভাঙ্কার কথায়, ”আমার প্রথম এবং প্রধান কাজ হবে নিজের সন্তানদের খুশি রাখা। তার জন্য সিদ্ধান্তই আগে নেব।”
কিন্তু এত সুন্দর একটা রাজনৈতিক কেরিয়ার কি জলাঞ্জলি দেবেন ৩৮ বছর বয়সী শিল্পপতি? এ প্রসঙ্গে ইভাঙ্কার উত্তর, ”আমি প্রশাসনের সামনের সারিতে এসেছিলাম একটি লক্ষ্য নিয়েই। মহিলাদের ক্ষমতায়নকে আরও বিস্তৃত করা। গত আড়াই বছর ধরে আমি প্রায় গোটা দেশ ঘুরেছি। বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছি।” যদিও নিজের কাজে খুব একটা সন্তুষ্ট নন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। বলছেন, ”আমার কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। অনেক কিছু করেছি। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়।” তাহলে কি রাজনীতিতে আগ্রহ সত্যিই কমছে ট্রাম্পকন্যার? তাই কি পরিবারের দিকে মন দিতে চাইছেন? নাকি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের ভূমিকা তাঁর মেয়েই আর খুব একটা সমর্থনযোগ্য মনে করছেন না? হোয়াইট হাউসের বর্তমান মুখ্য উপদেষ্টা অবশ্য শেষ পর্যন্ত কী করবেন, তা বোঝা যাবে নতুন বছরেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.