সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার জেরে বহু মৃত্যু দেখেছে ইটালি (Italy)। ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এই দেশেই। করোনার করাল গ্রাসে একসময় মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছিল দেশটি। সেসব এখন অতীত। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জমি ফিরে পেয়েছে ইউরোপের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দেশ। রবিবার ইটালিতে করোনার প্রভাবে মোট ২৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সংখ্যাটা ১৪ মার্চের পর সর্বনিম্ন। যা করোনার নিয়ন্ত্রণে আসার ইঙ্গিত হিসেবে মনে করছে সেদেশের প্রশাসন। এবং সেকারণেই বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইটালির প্রশাসন সুত্রের খবর আগামী ৪ মে থেকেই ধীরে ধীরে তুলে দেওয়া হবে বিধি-নিষেধ। প্রাথমিকভাবে, জনসাধারণকে নিজেদের এলাকার মধ্যে চলাফেরার অনুমতি দেওয়া হবে। ছোটখাটো সামাজিক অনুষ্ঠানের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। লোকজন তাঁদের আত্মীয়বাড়ি যাওয়ার অনুমতি পাবেন ৪ মে থেকে। শেষকৃত্যের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অ্যাথলিটদের ট্রেনিং শুরু করার অনুমতি দেওয়া হবে। ৪ মে থেকেই খুলবে বার এবং রেস্তরাঁগুলি। যে সমস্ত দোকানপাট এখনও খোলেনি সেগুলি ১৮ মে থেকে খোলা হবে। ১৮ মে থেকেই অনুশীলন শুরু করতে পারবে খেলার দলগুলি। ১ জুন থেকে খুলে যাবে সেলুন এবং বিউটি পার্লারগুলি।
ইটালির পাশাপাশি ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে। মারাত্মকভাবে সংক্রমিত আরেক দেশ স্পেনও ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল করছে। ফ্রান্সেও ইতিমধ্যেই অনেক কিছুতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সুইজারল্যান্ডেও শিথিল হচ্ছে লকডাউন। ব্রিটেনেও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে করোনা সংক্রমণের গতি। ইতিমধ্যেই করোনা যুদ্ধ জয় করে কাজে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। দ্রুত ব্রিটেনেও লকডাউন তোলা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছেন তিনি। উল্লেখ্য ইটালি, স্পেনের মতো ব্রিটেনেও মহামারির আকার নিয়েছিল করোনা। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.