সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরোপে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম ইটালি (Italy)। প্রথমে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয় দেশটি। তারপর দীর্ঘ লকডাউন আর পারস্পরিক দূরত্ববিধি মেনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে প্রশাসন। গ্রীষ্মের মধ্যেই অনেকটা সামলে উঠে দেশটি। কিন্তু গত কয়েকটা সপ্তাহে ছবিটা ফের বদলাচ্ছে। দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। তাই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করেছে রোম।
প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তের সরকারের জারি করা নয়া নির্দেশিকা মতে, রেঁস্তরাগুলিতে প্রতি টেবিল ৬ জনের বেশি বসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সন্ধ্যে ছ’টার মধ্যেই বন্ধ করতে হবে বার। কোনও ধরনের উৎসব ও মেলার আয়োজন করা যাবে না। সেই সঙ্গে মহামারীর ধাক্কায় বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে সামাল দিতে ৪ হাজার কোটি ইউরো আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেছে সরকার। দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা খাতে দেওয়া হবে অতিরিক্ত আরও ১০০ কোটি ইউরো। আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল, মানুষের রুজিরুটি ও ব্যবসাপত্র যতটা সম্ভব অক্ষত রেখে কী করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর।
বলে রাখা ভাল, এপর্যন্ত ইটালিতে করোনা আক্রান্তের সিনক্ষয় ৪ লক্ষ ১৪ হাজার। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ হাজার মানুষের। সব মিলিয়ে ইউরোপে এপর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা আড়াই লক্ষ ছাপিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে শনিবার থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় ফের দেশজুড়ে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছে ফ্রান্স। নয় নির্দেশিকায় সাজ বলা হয়েছে দেশের ৯টি শহরে রাত ন’টা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে। স্থানীয় সময় শনিবার থেকে চালু হবে এই নাইট কারফিউ, চলবে অন্তত ৪ সপ্তাহ। এই ৬টি শহর হল, ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস, গ্রেনোবাইল, লিলি, লিয়ঁ, আইক্স-মার্শেই, সেন্ট এটিনে, টিউলস, আইল-ডে-ফ্রান্স এবং মন্টপেলিয়ার। যদি কেউ এই কারফিউ ভঙ্গ করেন তবে তাঁকে ১৩৫ ইউরো জরিমানা দিতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.