সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের আক্রমণে আগেই রক্তাক্ত হয়েছে ইজরায়েল। এর মধ্যেই লেবানন থেকে আক্রমণ শুরু করেছে শিয়া জঙ্গি সংগঠন হেজবোল্লা। তাদের হামলায় মৃত্যু হল ইজরায়েলি সেনার এক শীর্ষ আধিকারিকের। ফলে যতদিন যাচ্ছে তীব্র হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের রক্তক্ষয়ী লড়াই।
গাজার পাশাপাশি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে ইজরায়েল-লেবানন সীমান্তও। হেজবোল্লার সঙ্গে লড়াই চলছে ইজরায়েলি ফৌজের (Israel)। এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ইহুদি দেশটির সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ আধিকারিকের। ঘটনাটি নিশ্চিত করে সোমবার ইজরায়েলি সেনার তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে লেবাননের সীমান্তে গোলাগুলির লড়াইয়ে তাদের এক সেনা অফিসারকে হত্যা করেছে হেজবোল্লা দল। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লেবাননের জঙ্গি সংগঠনটিও। শিয়া সন্ত্রাসবাদী দলটি জানিয়েছে, তারা সীমান্ত লাগোয়া ইজরায়েলের বরাক ও পাঁচটি সামরিক ঘাঁটি নিশানা করেছিল। দক্ষিণ লেবাননে ইজরায়েলের আক্রমণে যে সাংবাদিক ও সাধারণ বাসিন্দাদের মৃত্যু হয়েছে তার বদলা নিতেই ছিল এই হামলা। এই ঘটনার পর ইজরায়েলের সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়াল হাগারি অভিযোগ করেন, “ইরানের মদতে ও সাহায্যে লেবাননের সীমান্তে হামলা চালাচ্ছে হেজবোল্লা। দক্ষিণ গাজা থেকে আমাদের নজর সরাতে ও লড়াইয়ে বাধা সৃষ্টি করতে তারা এই পরিকল্পনা করেছে।”
গত শনিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ইজরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন রয়টার্সের চিত্র সাংবাদিক ইশাম আবদুল্লা। এক বিবৃতিতে রয়টার্স জানায়, ‘দক্ষিণ লেবাননে কাজ করছিলেন ইশাম। সেখানেই গোলাবর্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত। ওই অঞ্চলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ইশামের পরিবারের পাশে রয়েছে রয়টার্স।’ ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে দুই স্থানীয় বাসিন্দার। রবিবার এই ঘটনারই পালটা জবাব দিয়েছে হেজবোল্লা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়লের বুকে বেনজির হামলায় চালায় প্যালেস্তিনীয় (Palestine) জঙ্গি সংগঠন হামাস। রয়টার্স সূত্রে খবর, সুন্নি এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দিচ্ছে লেবাননের হেজবোল্লা। গত সোমবার থেকেই ইজরায়েলি ফৌজের সঙ্গে সংঘাত শুরু হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট এই শিয়া মৌলবাদী দলটির। আইডিএফ-এর পালটা মারে সেদিনই নিহত হয় তিন হেজবোল্লা যোদ্ধা। বলে রাখা ভালো, লেবাননের অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হেজবোল্লা বাহিনীতে রয়েছে লক্ষাধিক যোদ্ধা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.