Advertisement
Advertisement
Hamas

ইরান চোখ রাঙালেও গাজায় হামলা জারি, ইজরায়েলের অগ্নিবর্ষণে ধ্বংস হামসের ৪০টি ডেরা

গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।

Israeli strikes hit 40 Hamas targets in Gaza
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 17, 2024 2:53 pm
  • Updated:April 17, 2024 2:53 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব আশঙ্কা সত্যি করে ইজরায়েলে আঘাত হেনেছ ইরান। নানা মহলে শোনা যাচ্ছে, প্রতিশোধ নিতে তৎপর হয়ে উঠেছে তেল আভিভও। কিন্তু এর মাঝেও গাজায় আগুন ঝরানো বন্ধ করেনি ইজরায়েলি ফৌজ। হামাস নিধনে নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল তারা। মধ্য গাজায় হামাসের ৪০টি ডেরা নিশানা করে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। খতম করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু জঙ্গিকে। 

যতই ইরানের চোখ রাঙানির জবাব দিতে প্রস্তুতি নিক ইজরায়েল, গাজায় আক্রমণের ঝাঁজ কিন্তু কমায়নি তারা। খুঁজে খুঁজে নিশানা করা হচ্ছে হামাসের ঘাঁটিগুলোকে। এএনআই সূত্রে খবর, ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস জানিয়েছে, বুধবার সকালে গাজায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠনটির উপর আঘাত হানা হয়েছে। ইজরায়েলি সেনার ঘাঁটির কাছেই হামাস স্কোয়াড একটি ড্রোন হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল। বোমা বর্ষণ করে সেটিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভারতের যুব সমাজের মানসিকতা বিরাট কোহলির মতো’, কেন এমন বললেন রঘুরাম রাজন?]

জানা গিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে ৪০টি ডেরা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। হামাস জঙ্গিদের রকেট লঞ্চারগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েলের বিমানবাহিনী। এখান থেকেই জেহাদিরা ইজরায়েলে রকেট ছোড়ার ছক কষত। মাটির নিচের ডেরাগুলোতেও অগ্নিবর্ষণ করা হয়েছে। এই হামলায় নিকেশ হয়েছে বেশ কয়েকজন হামাস জঙ্গি। সব মিলিয়ে এদিন সব দিক দিয়ে  গাজায় শক্তিশালী আক্রমণ শানিয়েছে তেল আভিভ।

এদিকে, এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে ইজরায়েলের ওয়ার ক্যাবিনেট। ইতিমধ্যেই নেতানিয়াহুর মন্ত্রীরা বলতে শুরু করেছেন, যদি ইরানের হামলার কোনও জবাব না দেওয়া হয় তাহলে তা দুর্বলতা হিসেবেই চিহ্নিত করবে ‘শত্রু’ দেশটি। যদিও কখন ও কীভাবে প্রত্যাঘাত হানবে ইজরায়েল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সমর বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোয় আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল। এছাড়াও সম্ভাবনা রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার পথেও যেতে পারে তেল আভিভ। পাশাপাশি আর একটা সম্ভাবনাও রয়েছে। ইরানে সরাসরি হামলা না করে ছায়াসঙ্গী অর্থাৎ লেবাননের হেজবোলা ও ইয়েমেনের হাউথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হানা দিয়ে তেহেরানকে জবাব দিতে পারে ইজরায়েল। এই সম্ভাবনাও যথেষ্ট জোরালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর পাশাপাশি গাজায় হামলা অব্যাহত রেখে হামাসের উপরে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়াতে পারে তেল আভিভ।

বলে রাখা ভালো, গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে বেনজির হামলা চালায় হামাস। যার বদলা নিতে গত ছয় মাস ধরে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তেল আভিভ। ইতিমধ্যেই গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৩ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। সৌদি আরব, মিশর, জর্ডন, কাতার এই দেশগুলো বহুবার প্যালেস্তিনীয়দের মৃত্যু নিয়ে ইজরায়েলর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। কিন্তু এই ছয় মাসে ইহুদি দেশটির বিরুদ্ধে সেভাবে কোনও পদক্ষেপ করেনি তারা। এমনকী ইরানের মদতপুষ্ট লেবাননের হেজবোল্লা গোষ্ঠী মাঝে মধ্যে ইরানে মিসাইল ছুঁড়লেও তারাও প্রায় নিস্তেজ। তাই সেই অর্থে দেখতে গেলে ইজরায়েলের আক্রমণ শানিয়ে কোনঠাসা হয়ে গিয়েছে হামাসই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement