সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজায় এখনও হামলা অব্যাহত। হামাস নিধনে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। এর মাঝেই ইজরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রক ভেঙে দিলেন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু! তবে এমনটা যে হবে তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কারণ কয়েকদিন আগেই এই মন্ত্রক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রী বেনি গানৎজ। এই পদক্ষেপের জন্য দুষেছিলেন নেতানিয়াহুকেই। ফলে নিজের দেশেই চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর। তীব্র হচ্ছে অন্তর্কলহ।
ইহুদি দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন বেনি গানৎজ। পরে ইজরায়েলের বুকে হামাসের হামলার পর তাঁকে যুদ্ধকালীন মন্ত্রী করা হয়। কিন্তু গত মে মাসে বেঁকে বসেন তিনি। হুঁশিয়ারি দেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রক থেকে ইস্তফা দেওয়ার। তাঁর অভিযোগ ছিল, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভবিষ্যৎ কী হবে? শাসনভার কার হাতে যাবে? পণবন্দিরাই বা ঘরে ফিরবেন কবে? এইসব প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই নেতানিয়াহুর কাছে। এনিয়েই ক্ষোভের জেরে অবশেষে গত ৯ জুন ইস্তফা দেন তিনি। এর ঠিক এক সপ্তাহ পরই ৬ সদস্যের যুদ্ধকালীন মন্ত্রক ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন নেতানিয়াহু। সোমবার বিবিসি সূত্রে মিলেছে এমনই খবর।
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নতুন করে যুদ্ধকালীন মন্ত্রক তৈরি করার দাবি দিয়েছেন পুরনো মন্ত্রকের সদস্যরা। রয়টার্স সূত্রে খবর, এখন নেতানিয়াহু মন্ত্রীদের নিয়ে একটি দল গঠন করার পরিকল্পনা করছেন। ওই দলের সদস্যদের সঙ্গে তিনি চলমান গাজা যুদ্ধ নিয়ে শলা-পরামর্শ করবেন। ওই দলে থাকতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার। এঁরা দুজনেই যুদ্ধকালীন মন্ত্রকের সদস্য ছিলেন।
বলে রাখা ভালো, ইস্তফা দেওয়ার সময় বেনি বলেছিলেন, “নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত জয়ের দিকে এগতে দিচ্ছেন না। আর সেই কারণেই আপৎকালীন সরকার থেকে আমরা সরে যাচ্ছি ভারী হৃদয় নিয়ে। আমি নেতানিয়াহুকে ফোন করেছিলাম। ওঁকে সর্বসম্মত নির্বাচনের তারিখ ঠিক করতে বলেছি। আমাদের মানুষদের বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে দেবেন না।” তাঁর এই মন্তব্যের তাঁর এই মন্তব্যের জবাবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বেনি, এখন যুদ্ধ থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় নয়। এটা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সময়।” বিশ্লেষকদের মতে, যেভাবে এই মন্ত্রকে কলহ বেড়ে গিয়েছিল, তা সামাল দিতে চাপে পড়েছিলেন নেতানিয়াহু। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এবার নতুন ‘টিম’ গঠন করে গাজা যুদ্ধ নিয়ে রণকৌশল নেবেন নেতানিয়াহু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.