সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের (Israel-Hamas War) জেরে এখনই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না বাঁধলেও আগুনের ফুলকি ছড়াচ্ছে গোটা পশ্চিম এশিয়ায়। সতর্ক করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। ফের তার আভাস মিলল। শনিবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানালেন, শুক্রবার ভারত মহাসাগরে এক ইজরায়েলি ধনকুবেরের কনটেনার জাহাজে হামলা চালিয়েছে সন্দেহভাজন একটি ইরানি ড্রোন। বিস্ফোরণে ক্ষতি হয়েছে জাহাজটির।
পশ্চিম এশিয়ার সাম্প্রতিক যুদ্ধের সাময়িক বিরতির মধ্যেই ইজরায়েলি জাহাজে হামলার ঘটনা ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার থেকে গাজায় যুদ্ধ বিরতিতে দুই পক্ষের পণবন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকের চাঞ্চল্যকর দাবি, যুদ্ধ বিরতির প্রথম দিনেই CMA CGM Symi নামের ইজরায়েলি ধনকুবেরের জাহাজে ড্রোন হামলা হয়। সন্দেহভাজন ড্রোনটি ইরানের বলেই দাবি করা হচ্ছে। তিন কোণা ড্রোনে ছিল প্রচুর বিস্ফোরক। জাহাজের কাছে এসেই বিস্ফোরণ ঘটে। কেউ হতাহত না হলেও জাহাজের ক্ষতি হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
যুদ্ধের শুরু থেকেই প্যালেস্টাইন তথা হামাস গোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে ইরান (Iran)। বিষোদগার করেছে ইজরায়েল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে এক বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট গিলানি মন্তব্য করেন, ইজরায়েল হল আমেরিকার অবৈধ সন্তান। বলেন, “আমেরিকা ইহুদি শাসককে গাজার অসহায় জনগণের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক অভিযান চালাতে উৎসাহ দিয়েছে, এমনকী এই নৃশংসতাকে বৈধ প্রতিরক্ষামূলক নীতি বলেও ঘোষণা করেছে।”
শনিবার মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।” তবে হামলায় ইরানকে দোষী সাব্যস্ত করতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন কি না, এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে চাননি আমেরিকার প্রতিরক্ষা প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত, এর আগে লোহিত সাগরে (Red Sea) যুদ্ধ উসকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ইরানের (Iran) বিরুদ্ধে। গত রবিবার মালবাহী জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় জোরদার হয় সেই সম্ভাবনা। ভারতগামী একটি ব্রিটিশ জাহাজ ছিনতাই করে ইয়েমেনের (Yemen) জঙ্গি সংগঠন হাউথি। তাদের দাবি, এই জাহাজটি ইজরায়েলের। গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সংঘাত না থামানো পর্যন্ত এভাবেই জলপথে হামলা চালিয়ে যাওয়া হবে। এবার ইজরায়েলি জাহাজে ড্রোন হামলায় ফের অভিযুক্ত ইরান। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.