সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার মাস পেরিয়েও চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধ। গাজায় জঙ্গিদের হাতে এখনও বন্দি মহিলা-সহ শতাধিক ইজরায়েলি। এর আগে হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে মহিলা ও তরুণীদের ধর্ষণ ও অকথ্য যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিল নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এবার প্রকাশ্যে এসেছে আরেক তথ্য। জেহাদিদের ধর্ষণের শিকার হয়ে অনেকের গর্ভবতী হয়ে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে ইজরায়েল।
রয়টার্স সূত্রে খবর, গাজায় বন্দি অবস্থায় অনেক মহিলা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। তাঁদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ করছে ইজরায়েল। ইহুদি দেশটির সরকারের আশঙ্কা সময় বেশি পেরিয়ে গেলে তাঁদের গর্ভপাত করানো সম্ভব হবে না। ইতিমধ্যেই এই অবাঞ্চিত গর্ভধারণের মোকাবিলা করার জন্য পরিকল্পনা শুরু করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একটি কমিটি। তবে গাজায় ধর্ষণের শিকার কোনও ইজরায়েলি মহিলা গর্ভবতী হলে তাঁকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি সেই সন্তান রাখবেন কি না। গর্ভপাত করাতে চাইলে সেই মহিলাকে সবরকম সহায়তা করবে কমিটি।
জানা গিয়েছে, ৫০ দিন হামাসের ডেরায় বন্দি থাকার পরে মুক্তি পেয়েছেন চেন আলমগ গোল্ডস্টাইন নামে এক মহিলা। তিনি এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, “বন্দিদশায় দেখেছি, অল্পবয়সি মেয়েদের মধ্যে অনেকেরই ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি প্রার্থনা করি, ধর্ষণের কারণে ওরা যেন অন্তঃসত্ত্বা না হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই সম্ভাবনাই বেশি। আমার আশঙ্কা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেও তাঁদের মুক্তি দেওয়া হবে না। ফলে ওদের মধ্যে কেউ গর্ভবতী হলে গর্ভপাত করাতে খুব দেরি হয়ে যাবে।” এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পণবন্দিদের মুক্তি নিয়ে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপর আরও চাপ বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে, এই বিষয়টি নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে নেতানিয়াহুর সরকার। এমনিতে গর্ভপাত নিয়ে ইজরায়েলে নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। গর্ভপাত করাতে হলে নির্দিষ্ট সরকারি কমিটির অনুমতি নিতে হয়। ফলে ইজরায়েলের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রক চিন্তাভাবনা শুরু করেছে, কীভাবে নিয়মের ফাঁক গলে ওই মহিলাদের সহায়তা করা যায়। হামাসের ডেরা থেকে যখনই বন্দিদের ফিরিয়ে আনা হবে সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে খবর। যদিও যৌন নির্যাতনের সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছে হামাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.