সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হাতে খতম আল কায়দার দ্বিতীয় সর্বশক্তিমান ব্যক্তি আবদুল্লা আহমেদ অবদুল্লা ওরফে আবু মহম্মদ আল মাসরি। ইরানের রাজধানী তেহরানের রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে যাওয়ার সময় আবদুল্লা ও তার মেয়েকে গুলি করে হত্যা করে এক মোটরসাইকেল আরোহী। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত আগস্ট মাসে ‘আমেরিকার নির্দেশে’ এই কাজ করেছে মোসাদের কুখ্যাত গুপ্তঘাতকরা।
আল কায়দা (Al Qaeda) নেতা আবদুল্লার হত্যার কথা প্রথম জানা যায় শুক্রবার প্রকাশিত ‘The New York Times’-এর একটি প্রতিবেদনে। লাগাতার চলা অভিযানের ফলে আল কায়দার শীর্ষ নেতাদের অধিকাংশই নিকেশ হয়েছে। ১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকায় মার্কিন দূতাবাসে হামলায় অভিযুক্ত ছিল আবদুল্লা। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ২০০ জন মানুষ। এবার সেই হামলার প্রতিশোধ নিয়ে জেহাদি সংগঠনটিকে জোর ধাক্কা দিয়েছে আমেরিকা বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এই কাজের জন্য ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের ঘাতকদের মদত নিয়েছে সিআইএ বলে খবর।
এদিকে, আবদুল্লার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি আল কায়দা। তবে বরাবরই শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুর খবর গোপন রেখেছে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনটি। কিন্তু এই খবরের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিবাদ না করা ও অবদুল্লার কোনও ভিডিও বার্তা না আসায় তার মৃত্যু হয়েছে বলেই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এছাড়া, গত মাসে আল কায়দার একটি ওয়েবসাইটে অবদুল্লার মৃত্যু সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা মুছে ফেলা হয় বলে জানিয়েছে SITE। বিশ্বের সমস্ত সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের অনলাইন গতিবিধির উপর নজর রাখে SITE Intelligence Group। সিআইএ-সহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ২০০১ সালের পর ইরানে পালিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করে অবদুল্লা। যদিও সুন্নি জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার সঙ্গে মতাদর্শের ফারাক রয়েছে ইরানের, অবদুল্লাকে কোনও অজ্ঞাত কারণে তেহরানে আশ্রয় দেয় দেশটি। সব মিলিয়ে ওই শীর্ষ জঙ্গি নেতার মৃত্যুতে আল কয়দার গ্লোবাল জেহাদ প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে বলেই মত বিশ্লেষকদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.