Advertisement
Advertisement
Israel

জনসংখ্যা যখন যুদ্ধের অস্ত্র! জেহাদি রুখতে গোলান মালভূমিতে বড় পরিকল্পনা ইজরায়েলের

আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হতেই সিরিয়ার সিংহভাগ অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করেছে ইজরায়েল।

Israel Will
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:December 19, 2024 5:54 pm
  • Updated:December 19, 2024 5:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুলি-বোমা-বন্দুক-ক্ষেপণাস্ত্র নয়, জনসংখ্যাই অস্ত্র! সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ যুগের অবসানের পর অধিকৃত গোলান মালভূমি দখলে রাখতে, বিদ্রোহীদের আঁচ থেকে ইজরায়েলকে নিরাপদ করতে এক কোটি ১০ লক্ষ ডলারের বড় পরিকল্পনা বেঞ্জামিন নেতনিয়াহু সরকারের। মূল লক্ষ্য—গোলান মালভূমির ইহুদি জনসংখ্যা দ্বিগুণ করা। কীভাবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে?

বাশার আল আসাদের পতনের পর দ্রুত বদলাচ্ছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি। সেখানে ক্রমশ আলগা হচ্ছে রাশিয়ার হাত। এই অবস্থায় সিরিয়ায় মুহুর্মুহু হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। ওই হামলার জেরে দেশটির ৮০ শতাংশ অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে বলে খবর। আইডিএফ-এর বক্তব্য, আসাদহীন সিরিয়ায় নৌঘাঁটি, সেনাঘাঁটি-সহ অস্ত্রভাণ্ডারগুলি আল কায়দা, ইসলামিক স্টেট, তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির হাতে পড়লে বিপদ হতে পারে ইজরায়েলের। সেই কারণেই কৌশলগতভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এর পরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না নেহানিয়াহু। সেই কারণেই গোলান মালভূমির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হয়েছে।

Advertisement

মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস বলছে, ১৯৬৭ সালে গোলান দখল করে ইজরায়েল। ১৯৮১ সালে ইজরাইলের মানচিত্রের অংশ হয় ওই ভূখণ্ড। যদিও আন্তর্জাতিক আইনে এখনও এই অঞ্চলকে সিরিয়ার অংশ হিসাবে দেখানো হয়। সম্প্রতি নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে গোলানের এবং ইজরায়েলের শক্তি বাড়াতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি জরুরি হয়ে উঠেছে।” অন্যতম কারণ ১৮০০ কিলোমিটার সিরিয়া-ইজরায়েল সীমান্ত রয়েছে এই গোলানেই। নেতানিয়াহু জনিয়েছেন, এই এলাকা ইজরায়েলের অধিকারেই থাকবে, সেখানে ইহুদি মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। সংখ্যালঘু করে কোণঠাসা করা হবে আরব গোষ্ঠীর লোকেদের।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ পাথুরে গোলান মালভূমিতে বসবাস করেন। এঁদের অর্ধেক জনতা ইহুদি। সেই সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা করেছে নেতানিয়াহু সরকার। যাতে করে আরবদের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ইতিমধ্যে ‘বাফার জোন’ গোলানে সেনার সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে আইডিএফ। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলকারী জঙ্গিদের গতিবিধির দিকেও কড়া নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, অতীতে ওয়েস্টব্যাঙ্কে এভাবেই কর্তৃত্ব স্থাপন করেছিল ইজরায়েল। অন্যদিকে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের শায়েস্তা করতে এভাবেই হান চিনাদের বসতি গড়ে তুলছিল বেজিং।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement