সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব-ইহুদি সম্পর্কে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করে বাহরাইন যাবেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Benjamin Netanyahu)। নিজেই এই সফরের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।
সম্প্রতি আমেরিকার মধ্যস্থতায় বাহরাইন ও ইজরায়েলের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। মিশর, জর্ডনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) আমলে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব অমিরশাহী (UAE) ও বাহরাইন। এই সন্ধিতে যে সায় রয়েছে সৌদি আরবের তা অজানা নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইজরায়েলের জন্মলগ্ন থেকেই ইহুদি দেশটিকে পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে বদ্ধপরিকর আরব দুনিয়া। বিগত কয়েক দশকে ইজরায়েলের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধও হয়েছে আরব দেশগুলির সংযুক্ত বাহিনীর। তবে প্রতিবারই ইহুদি দেশটির কাছে কাছে পরাজয় স্বীকার করে গাজা, ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক, সিনাই অঞ্চল হাতছাড়া হয় আরব দেশগুলির। যদিও সে সব লড়াইয়ে সংযুক্ত অমিরশাহীর মতোই সরাসরি অংশগ্রহণ করেনি বাহরাইন। কিন্তু পৃথক প্যালেস্টাইন গড়ার সমর্থনে এতদিন ইজরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রথমে স্বীকৃতি দেয়নি দ্বীপরাষ্ট্রটি।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার গোপনে সৌদি আরবে (Saudi Arabia) হাজির হন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন ও মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেওর সঙ্গে আলোচনা সারেন তিনি বলে খবর ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। করোনা আবহে সশরীরের নেতানিয়াহু ও পম্পেওর সৌদি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, এবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করবে সৌদি আরব। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলের দখলে থাক জমি মুক্ত করে পৃথক প্যালেস্তাইন রাষ্ট্র গড়ে তোলার বহু বছরের নিরন্তর প্রয়াস ও আন্দোলন আর সফল হবে না বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.