সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন হস্তক্ষেপেও মধ্যপ্রাচ্যে কিছুতেই ফিরছে না শান্তি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাবের পরই তুঙ্গে করে উত্তেজনা শুরু হল ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে। গাজা ভূখণ্ডে ফের হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।
শনিবার, জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজায় বিমানহানা চালায় ইজরায়েলের সেনা। টার্গেট ছিল মূলত হামাস জঙ্গিদের অস্ত্রভাণ্ডার, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পরিকাঠামো ধ্বংস করা। ইজরায়েলের সেনা সূত্রে খবর, গাজা স্ট্রিপের উত্তরপ্রান্তে হামাস জঙ্গিদের একটি শিবিরে বিমান হানা চালানো হয়। ওই শিবিরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ ছাড়াও প্রচুর অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল। শুক্রবার দক্ষিণ ইজরালের সীমান্তে গোলাবর্ষণ হয় গাজা থেকে। এই হামলার নেপথ্যে হামাসের জঙ্গিরা রয়েছে বলে দাবি ইজরায়েলের। এদিনের বিমানহানা তারই পালটা জবাব বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে ইজরায়েলি সেনা।
উল্লেখ্য, পশ্চিম এশিয়ায় স্থায়ী সমাধান আনতে উদ্যোগী হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিগত কয়েক মাস ধরে নানা বিকল্প সমাধান সূত্র নিয়ে আলোচনা চালিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউস, রিপাবলিকান পার্টি এবং মার্কিন কংগ্রেসের একটি বড় অংশের কাছ থেকে সম্মতিও আদায় করেছেন তিনি। গত মাসেই আমেরিকা সফররত ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে সেই রফা সূত্র ঘোষণাও করেছেন ট্রাম্প। তাতে স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া-সহ ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সীমান্ত বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমেরিকার বিভিন্ন ইহুদি সংগঠন ও ইজরায়েলের একাধিক রাজনৈতিক দলের দাবি, ট্রাম্পের প্রস্তাব মানলে আখেরে ক্ষতি হবে ইজরায়েলের অর্থনীতির। ইজরায়েলের আর্থিক চাপ বাড়বে এবং আগামী বহু বছর ধরে ইজরায়েলকে এর জন্য ভুগতে হবে। তাই ট্রাম্পের এই প্রস্তাব মানা যায় না।
উল্টোদিকে প্যালেস্তিনীয়দের দাবি, ট্রাম্পের ওই প্রস্তাব বৈষম্যমূলক এবং ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার যোগ্য। এই রফা প্রস্তাব মানা হবে না। তাঁদের দাবি, হোয়াইট হাউসের ইস্ট রুমে ট্রাম্প য়খন রফা প্রস্তাব ঘোষণা করছেন তখন সেখানে রয়েছেন নেতানয়াহু—সহ আমেরিকায় বসবাস করা শীর্ষস্থানীয় প্রভাবশালী ইহুদি নেতারা। কিন্তু কোনও প্যালেস্তিনীয় নেতা সেখানে ছিলেন না। তাহলে এরকম একতরফা রফা সূত্রের দাম কোথায়? প্যালেস্তিনীয়দের সঙ্গে কোথায় কবে আলোচনা করা হয়েছে? এদিকে, ট্রাম্প বলছেন, আসুন এই শান্তি প্রস্তাব কার্যকর করে পশ্চিম এশিয়ায় হিংসার অবসান হোক। নতুন ভোরের সূচনা হোক। প্যালেস্টাইনের সম্মান বজায় রেখেই আমেরিকা ও ইজরায়েল এই প্রস্তাব নিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.