সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত পরিস্থিতি শান্ত। কিন্তু যুদ্ধের করাল মেঘ এখনও অন্তর্হিত হয়নি মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ থেকে। যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা যেকোনও সময় প্রতিশোধ নিতে ইরানে (Iran) পালটা আক্রমণ শানাতে পারে ইহুদি দেশটি। এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছে তেল আভিভের ওয়ার ক্যাবিনেট। ইতিমধ্যেই নেতানিয়াহুর মন্ত্রীরা বলতে শুরু করেছেন, যদি ইরানের হামলার কোনও জবাব না দেওয়া হয় তাহলে তা দুর্বলতা হিসেবেই চিহ্নিত করবে ‘শত্রু’ দেশটি। যদিও কখন ও কীভাবে প্রত্যাঘাত হানবে ইজরায়েল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কোন কোন পথে হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল (Israel)? সবচেয়ে বড় যে আশঙ্কা তা হল ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোয় আকাশপথে হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল। নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে সেগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনিতে ইরানের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইজরায়েলের থেকে অনেকটাই দুর্বল। তাই আকাশপথে হামলার ফল মারাত্মক হতে পারে। ইরানের সেনা ছাউনি কিংবা জরুরি পরিকাঠামোকেও টার্গেট করা হতে পারে।
এছাড়াও সম্ভাবনা রয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে সাইবার হামলার পথেও যেতে পারে তেল আভিভ। এমনিতেই বহু বছর ধরে ইরানের সেনা ওয়েবসাইট থেকে সাধারণ নাগরিকদের প্রোফাইলেও সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে তেল আভিভের বিরুদ্ধে। যদিও কোনও বারই তারা হামলার দায়স্বীকার করেনি। এবারও ইরানের উপরে বদলা নিতে এই পথও বাছতে পারে তারা।
পাশাপাশি আর একটা সম্ভাবনাও রয়েছে। ইরানে সরাসরি হামলা না করে ছায়াসঙ্গী অর্থাৎ লেবাননের হেজবোলা ও ইয়েমেনের হাউথি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হানা দিয়ে তেহেরানকে জবাব দিতে পারে ইজরায়েল। এই সম্ভাবনাও যথেষ্ট জোরালো বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এর পাশাপাশি গাজায় হামলা অব্যাহত রেখে হামাসের উপরে আক্রমণের ঝাঁজ আরও বাড়াতে পারে ইজরায়েল। হামাস সমর্থক ইরানকে জবাব দিতে এই পথও বাছতে পারে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.