সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরব-ইহুদি সংঘাতে প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যুদ্ধের বলি নিষ্পাপ শিশুরাও। আঘাত হানা হচ্ছে হাসপাতালে। অভিযোগের আঙুল উঠছে ইজরায়েলের দিকে। কিন্তু গাজায় অভিযান শুরু করার পর থেকেই ইজরায়েল অভিযোগ করছে সেখানকার হাসপাতালগুলোকে বাঙ্কার হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস। গাজার বৃহত্তম হাসপাতাল আল শিফায় রয়েছে জেহাদিদের কমান্ড সেন্টার ও অস্ত্রভাণ্ডার। এবার ভিডিও প্রকাশ করে অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ দিল ইজরায়েলি ফৌজ।
এই মুহূর্তে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আল শিফা (Al Shifa) হাসপাতাল। যাকে অন্যতম কমান্ড সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করছে হামাস জঙ্গিরা বলে অভিযোগ। ওই ‘ঘাঁটি’ থেকে জেহাদিদের উৎখাত করতেই বুধবার অভিযান শুরু করে ইজরায়েলের ট্যাঙ্কবাহিনী। হাসপাতালের ভিতরে অভিযান চালানোর পর এমআরআই বিল্ডিং থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস। ফাঁকা বুলি নয়, ভিডিও প্রকাশ করে জোরাল প্রমাণও দিয়েছে তারা।
আইডিএফের (IDF) প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র জোনাথন কনরিকাস আল শিফার এমআরআই বিল্ডিংয়ের ভিতরে ঢুকে হামাসের মজুত করা অস্ত্রশস্ত্র দেখাচ্ছেন। কনরিকাসকে বলতে শোনা যায়, “এই সমস্ত হাতিয়ার ও সরঞ্জাম দেখে আমরা নিশ্চিত যে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে হামাস জঙ্গিরা এই হাসপাতাল থেকে সামরিক অভিযান চালায়।”
অন্যদিকে, আল শিফায় ইজরায়েলের এই অভিযানকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এনিয়ে বুধবার তিনি বলেন, “গাজার হাসপাতালগুলোকে কমান্ড সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করে প্রথম যুদ্ধপরাধ করেছে হামাসই। সামরিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে হাসপাতাল থেকে। এর ফল যা হওয়ার তাই হচ্ছে।”
Watch as LTC (res.) Jonathan Conricus exposes the countless Hamas weapons IDF troops have uncovered in the Shifa Hospital’s MRI building: pic.twitter.com/5qssP8z1XQ
— Israel Defense Forces (@IDF) November 15, 2023
বলে রাখা ভালো, কয়েকদিন আগেই গাজার র্যানটিসি হাসপাতালের বেসমেন্ট থেকেও হদিশ মিলেছিল হামাসের বিপুল অস্ত্রভাণ্ডারের। যা নিয়ে ইহুদি দেশটির সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একাধিক ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে আনা হয়। এবার আল শিফা। যাকে নিয়ে এই মুহূর্তে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। কারণ রাষ্ট্রসংঘের তরফে অনুমান করা হচ্ছে হাসপাতালের ভিতরে আটকে রয়েছেন অন্তত ২৩০০ রোগী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.