সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের পড়ুয়াদের হজরত মহম্মদের বিতর্কিত কার্টুন দেখিয়েছিলেন। এর জেরে ফ্রান্সের এক শিক্ষককে নৃংশসভাবে খুন করে এক যুবক। পাশবিক এই ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিতমূলক মন্তব্য করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তারপর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রধানরা এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেন। ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করারও ডাক দেন কেউ কেউ। বিভিন্ন দেশে ফ্রান্স বিরোধী বিক্ষোভও শুরু হয়। পাকিস্তানে এই রকম একটি বিক্ষোভ চলার সময় পুলিশের সঙ্গে প্রবল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল ইসলাম ধর্মাবলম্বী হাজার হাজার মানুষ। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে। সাধারণ মানুষের কাছে ফ্রান্সের পণ্য বয়কট করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি পাকিস্তানের সরকারের কাছে ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে দেশ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ফ্রান্সের সঙ্গে থাকা সমস্ত রকম কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করার দাবি তুলেছে। সোমবার তেহরিক-ই-লাবাইক পাকিস্তান (Tehrik-i-Labaik Pakistan) নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করে ইসলামাবাদ শহরে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু, পুলিশ তাদের শহরে ঢুকতে বাধা দিলে শুরু ধস্তাধস্তি। পরে সেটা প্রবল সংঘর্ষের রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়লে পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ করে তারা। উভয়পক্ষের এই লড়াইয়ের ফলে অনেকেই গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এপ্রসঙ্গে তেহরিক-ই-লাবাইকের সভাপতি জাহিরুল হাসান (Zaheer-ul-Hasan) একটি ভিডিওবার্তায় জানান, আমাদের বিক্ষোভ রোখার জন্য প্রচুর অত্যাচার করেছে পুলিশ। এর ফলে অনেকে গুরুতর জখম হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আমাদের মহানবী ও ধর্মকে অপমান করেছে। তাই তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের সমস্তরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করতে হবে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ফরাসী রাষ্ট্রদূতকে পাকিস্তান থেকে তাড়িয়ে দিতে হবে। সরকার আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন থামবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.