Advertisement
Advertisement
কেনিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা

কেনিয়ার মার্কিন সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা, তুমুল গুলির লড়াই

সোলেমানির মৃত্যুর বদলা নিতেই কি হামলা, উঠছে প্রশ্ন।

Islamist group Al Shabaab attacked US military base in Lamu, Kenya.
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 5, 2020 12:47 pm
  • Updated:January 5, 2020 4:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাগদাদ, আল-বালদের পর এবার নিশানায় কেনিয়ার মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। গুরুত্বপূর্ণ এই বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় আল-শাবাব সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। হামলার জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। জানা গিয়েছে, সাতটি এয়ারক্রাফট ও তিনটি গাড়ি জ্বলে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার মার্কিনি হামলায় খতম হয়েছে ইরান এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান কমান্ডার কাশেম সোলেমানি, PMF-এর ডেপুটি কমান্ডার আবু মেহদি আল-মুহানদিস ও বিমানবন্দরের প্রোটোকল অফিসার মহম্মদ রেদা-সহ আটজন। আন্তর্জাতিক মহলের ধারনা, সেই হামলার বদলা নিতেই বিশ্বেব নানাপ্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মার্কিনি সেনাঘাঁটিগুলিতে হামলা করা হচ্ছে।

Advertisement

বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসের কাছে পরপর দুটি মর্টার হানা হয়। এমনকী আল-বালাদে ইরাক-মার্কিনি যৌথ বাহিনীর বিমানঘাঁটিতেও রকেট হামলা করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ইরান কিংবা তার বন্ধু দেশগুলির তরফেই এই হামলা চালানো হয়েছে। যদিও এখনও তাদের তরফে হামলার দায় স্বীকার করা হয়নি। দুটি হামলাতেই কোনও হতাহতের খবর নেই। ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন সেনা। এরপরই নিশানা করা হয় কেনিয়ার লামু শহরের এই সামরিক ঘাঁটি।

[আরও পড়ুন : বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস চত্বরে হামলা, ইরানের ৫২টি এলাকায় পালটা হানার হুমকি ট্রাম্পের]

সেনা সূত্রে খবর, লামুর এই মান্দা এয়ারস্ট্রিপটি ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকা এবং কেনিয়া যৌথ সামরিক ঘাঁটির খুব কাছেই রয়েছে এয়ারস্ট্রিপ। ফলে সেনার যে কোনও প্রয়োজনে এই ঘাঁটি ব্যবহার করা হয়। এমনকী সেনা আধিকারিকরাও এই এয়ারস্ট্রিপ ব্যবহার করেন। ফলে এই এলাকায় হামলা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।

[আরও পড়ুন : ভারতে ‘পুলিশি’ অত্যাচার দেখাতে গিয়ে ঢাকার ভিডিও পোস্ট, হাসির খোরাক ইমরান]

জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জ সমর্থিত সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আল কায়দার মদতপুষ্ট আল শাবাব। তাদের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, হারাত-আল-শাবাব-আল-মুজাহিদিনের আত্মঘাতী বাহিনী সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করেছে। লামুর সেনাঘাঁটিতে বহু জওয়ান থাকেন। এমনকী তাঁদের পরিবারও রয়েছে এই এলাকায়। আবার এই এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ইসলামিক গোষ্ঠীগুলিকে দমন করতে লামপুরের এই ঘাঁটিই ব্যবহার করে আমেরিকা। তাই সরাসরি এয়ারস্ট্রিপে হামলা করা হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, লড়াই এখনও চলছে।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement