সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচ বছর পর ফের দেখা গেল ইসলামিক স্টেট প্রধান আবু-বকর আল বাগদাদিকে৷ সোমবার একটি ভিডিও প্রকাশ করে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী৷ মৃত্যুর জল্পনা উড়িয়ে সেখানেই দেখা মেলে ওই কুখ্যাত জঙ্গিনেতার৷ ভিডিওয় বাগদাদি বলে, খিলাফতের উপর হামলার বদলা নিতেই শ্রীলঙ্কায় ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে৷
[জঙ্গি শনাক্তকরণে সুবিধার জন্য বোরখা নিষিদ্ধ শ্রীলঙ্কায়, সিদ্ধান্ত ঘিরে সমালোচনা]
একদা বাগদাদির ভয়ে কাঁটা ছিল ইরাকের রাজধানী বাগদাদ৷ প্রাচীন শহরটিকে খিলাফতের রাজধানী করার কথাও বলেছিল আইএস প্রধান৷ তবে আমেরিকা ও রাশিয়ার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সেনার চাপে ইরাক ও সিরিয়া দু’দেশেই পরাজিত হয় ‘দায়েশ’ বা ইসলামিক স্টেট৷ তারপরই যেন আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে সংগঠনটি৷ সরাসরি লড়াইয়ে প্রবল মার খেয়ে এবার নিরীহ মানুষকে নিশানা করেই নিজেদের শক্তিপ্রদর্শন করছে৷
সোমবার, বাগদাদির একটি ভিডিও প্রকাশ করে আল-ফারকান মিডিয়া৷ তারপরই টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে সেটি৷ ওই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন জঙ্গির সঙ্গে বসে হাঁটু মুড়ে বসে রয়েছে বাগদাদি৷ তার পাশে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় রাইফেল৷ ভিডিওটিতে বাগদাদি দাবি করেছে যে খিলাফতের উপর হামলার বদলা নিতেই শ্রীলঙ্কায় হামলা চালানো হয়েছে৷ সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের শেষ ঘাঁটি বাঘউজ হাতছাড়া হওয়ায় এই হামলা করা হয়েছে৷
২০১৪ সালের পর এই প্রথম দেখা গেল বাগদাদিকে৷ ২০১৫ সালে মার্কিন বিমান হামলায় গুরুতর জখম হয় আইএস প্রধান৷ ছড়িয়ে পড়ে তার মৃত্যুর খবর৷ তবে এদিনের ভিডিওয় সাফ বোঝা যাচ্ছে যে এখনও বেঁচে একদা বাগদাদের বিভীষিকা বাগদাদি৷ উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে ‘আইএসআই’ বা ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক’ নাম গ্রহণ করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী৷ ইরাকে সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর থেকেই রাজধানী বাগদাদে নাশকতা চালাতে শুরু করে দলটি৷ তবে মার্কিন সেনার পালটা হামলায় বাগদাদ ছাড়তে বাধ্য হয় তারা৷ কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে মসুলে শক্তি সংগ্রহ করতে নেমে পড়ে ‘আইএস’৷ ২০১০ সালে সংগঠনের রাশ ধরে কুখ্যাত জঙ্গি আবু বকর আল-বাগদাদি৷ দু’বছরের মধ্যেই সিরিয়ায় ‘জাভাত আল-নুসরা’ নাম নিয়ে উপস্থিতি জানান দেয় সংগঠনটি৷ তারপর ‘আইএসআই’ ও ‘আল নুসরা’ মিলে গঠন করা হয় ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া’ বা আইএসআইএস৷
As suspected, reporting about Baghdadi that he was slim & ailing (recurrent in captured commanders’ testimonies, who claimed to have met him) were inaccurate pic.twitter.com/jSRa4LqNxl
— Hassan Hassan (@hxhassan) April 29, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.