সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খতম হয়েছে বিশ্বসন্ত্রাসের মুখ আবু বকর আল বাগদাদি। কুকুরের মতো একটি অপরিসর সুড়ঙ্গে মার্কিন সেনার হাতে প্রাণ দিয়েছে সে। তবে আর কোনও ঝুঁকি নেয়নি ‘ডেল্টা ফোর্স’। ঘটনাস্থলেই বাগদাদির ডিএনএ টেস্ট করে পরিচয় নিশ্চিত করে তারা। রবিবার এই কথা ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারপর ছিল ওই জঙ্গির শেষকৃত্যের পালা। পেন্টাগন সূত্রে খবর, লাদেনের মতোই অতল সমুদ্রের অন্ধকারে ঠাঁই হয়েছে বাগদাদির।
আমেরিকার ‘জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফস’ প্রেসিডেন্ট জেনারেল মার্ক মাইলি জানান, যুদ্ধের রীতি মেনেই বাগদাদির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়েছে। মৃত্যুর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই বাগদাদির দেহাবশেষ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। আমেরিকার প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপারও সাফ জানিয়েছেন, আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের মতোই বাগদাদিরও জায়গা হয়েছে গভীর সমুদ্রের বুকে। এই কাজের জন্য বেশ কয়েকজন মুসলিম ধর্মগুরুর সঙ্গে আলোচনা করেন মার্কিন সেনার আধিকারিকরা। বিশ্লেষকদের মতে, জমিতে বাগদাদিকে কবর দিলে ওই জায়গাটি জঙ্গিদের কাছে তীর্থ হয়ে উঠত। ওই সমাধি থেকেই নাশকতার বিষ ছড়িয়ে পড়ত। ফলে লাদেনের মতোই বাগদাদির অস্তিত্ব মুছে ফেলতেই সাগরে তার দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে অ্যাবোটাবাদে ‘অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার’ সফল হওয়ার পর মার্কিন রণতরী ‘USS Carl Vinson’-এ লাদেনের দেহ নিয়ে আসা হয়। সেখানেই আরবি ভাষায় প্রার্থনা জানিয়ে আল কায়দা প্রধানের দেহাবশেষ সমুদ্রে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, আইএস প্রধানের খতম অভিযানটি উৎসর্গ করা হয়েছে এক মার্কিন মহিলাকে। তাঁর নাম কায়লা মিউলার। রবিবার এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে এই কথা জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন। অ্যারিজোনার বাসিন্দা কায়লা পেশায় একজন মানবাধিকার কর্মী ছিলেন। কাজের সূত্রে তুরস্ক থেকে সিরিয়া গিয়েছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে আলেপ্পোয় তাঁকে অপহরণ করে আইএস জঙ্গিরা। প্রায় দু’বছর বন্দি থাকার পর তাদের হেফাজতেই মৃত্যু হয় কায়লার। মাত্র ২৬ বছর বয়সে। জানা যায়, খোদ বাগদাদি তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। আইএস অবশ্য দাবি করে, রাকায় জর্ডনের বিমান হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে কায়লার মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন: শিয়রে শমন দেখে কী করেছিল বাগদাদি? প্রকাশ্যে শিহরন জাগানো তথ্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.