Advertisement
Advertisement

দলে এলেই মিলবে একাধিক যৌনদাসী! আফগানিস্তানে মৃত্যুফাঁদ আইএস-এর      

আর নিষ্কৃতি নেই!

ISIS lays sex slave trap to lure Afghan youths
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 8, 2018 3:32 pm
  • Updated:May 8, 2018 3:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুতেই বিয়ের পণ জোগাড় করতে পারছিল না মহম্মদ শাহ। পাত্রীপক্ষের দাবি ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। চিন্তায় ঘুম উধাও মহম্মদের। এই বুঝি হাতছাড়া হয় প্রেমিকা। রাতভর চিন্তা করে অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল প্রেমে মাতোয়ারা আফগান যুবকটি। সকাল হতেই দেখা গেল একটি পাহাড়ি গুহায় ঢুকছে যুবকটি। সেদিন রাতেই মেয়ের বাড়িতে হানা দিল ‘কালো পাগড়ি’রা। পাত্রীকে তুলে নিয়ে বিয়ের আসরে বাবু হয়ে বসল মহম্মদ। যাক বিনা পণেই বিয়ে সারা! বেশ ঢিট করা গিয়েছে মেয়ের বাবাকে। তবে মহম্মদ যা বোঝেনি, তা হল, ‘কালা পাগড়ি’দের সাহায্য নিয়ে ভয়াবহ মৃত্যুফাঁদে পা দিয়ে ফেলেছে সে। এখন আর নিষ্কৃতি নেই।

কারা এই ‘কালা পাগড়ি’? কী ফাঁদ আফগান যুবকদের জন্য পেতে রেখেছে তারা?

Advertisement

প্রশ্নের জবাব পেতে হলে যেতে হবে সুদূর সিরিয়া ও ইরাকে। যুদ্ধজর্জর ওই দেশগুলিতে একপ্রকার বিদ্ধস্ত ‘কালা পাগড়ি’ বা ইসলামিক স্টেট। আফগানিস্তানে এই নামেই পরিচিত জঙ্গি সংগঠনটির সদস্যরা। নামকরণের নেপথ্যে রয়েছে জঙ্গিদের মাথায় থাকা কালো রঙের পাগড়ি। ইরাক ও সিরিয়ায় জমি খুইয়ে এবার আফগানিস্তানে শিকড় ছড়াচ্ছে আইএস। তরুণ আফগানি যুবকদের দলে আনতে যৌনদাসী ও বিয়ের টোপ দিচ্ছে সংগঠনটি। পাহাড়ি দেশটিতে তালিবান-সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠী রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে আধিপত্যের লড়াই লেগেই আছে ইসলামিক স্টেটের। এছাড়াও রয়েছে মার্কিন বাহিনীর হানা। ফলে দলে তরুণদের টানতে না পারলে টিকবে না দলটি। জেহাদের ধুয়ো আগেই দিয়েছে তালিবান। তাই এবার যুবকদের যৌনদাসীদের প্রলোভন দিচ্ছে আইএস।

[জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হাওয়াই]

মহম্মদকে সাহায্য করে দলে ভরতি করাই ছিল জঙ্গিদের উদ্দেশ্য। এবং তা সফল ও হয়। মহম্মদ একা নয় শয়ে-শয়ে তরুণরা এই ফাঁদে পা দিচ্ছে। উল্লেখ্য, আফগান প্রথামাফিক পত্রপক্ষকে পণ দিতে হয়। তার পরিমাণ কম কিছু নয়। ফলে টাকা জোগাড় করতে না পেরে অনেকেই নাম লিখাচ্ছে আইএস-এর খাতায়। তা করলেই বিয়ে করানোর সমস্ত দায় নেবে সংগঠনটি। সঙ্গে একাধিক যৌনদাসী দেয় জঙ্গি সংগঠনটি। মহম্মদের বাবা জামালউদ্দিন জানান, ছেলে ভুল করেছে। তার মুখও দেখতে চান না তিনি। উল্লেখ্য, আইএস-এর ভয়ে জোয়ান প্রদেশে নিজের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন জামালউদ্দিন। তাঁর ও এলাকার সকলের সমস্ত কিছু কেড়ে নিয়েছে কালা পাগড়িরা। আর সেই দলেই ছেলের নাম লেখানোয় মুষড়ে পড়েছেন ওই বৃদ্ধ।

একটি মার্কিন রিপোর্ট মতে, কয়েকদিন আগেই আইএস-য়ের শীর্ষ নেতা কারি হিকমতুল্লাকে খতম করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। নানগরহার প্রদেশেও চলছে অভিযান। খানিকটা চাপেই রয়েছে আইএস। তবে এত কিছুর পরও আফগানিস্তানে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার আইএস জঙ্গি। আফগান ছাড়াও বহু বিদেশি রয়েছে এদের মধ্যে। এদের মধ্যে অনেকেই ইরাক ও সিরিয়ায় লড়াই করে এসেছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে। পাকিস্তান হয়েই এদেশে প্রবেশ করছে জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে, দারযাব প্রদেশে প্রশিক্ষণ শিবির খুলেছে আইএস। এলাকার যুবতীদের অপহরণ করে যৌনদাসী বানানোও হচ্ছে। যথেচ্ছ যৌনাচারের টোপ দিয়ে আফগান তরুণদের দলে টানছে তারা। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত সেনা নেই আশরাফ ঘানি সরকারের কাছে। ফলে শীঘ্রই ব্যবস্থা না নিলে এর ফল ভোগ করতে হবে ভারত-সহ একাধিক দেশকে।

[এখনও খোঁজ নেই অপহৃত ইঞ্জিনিয়ারদের, কেন মুক্তির কথা বলেও চুপ তালিবান নেতা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement