সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুমূল্য ব্যাঙের ছাতার খোঁজে গিয়ে ইসলামিক স্টেটের খপ্পরে! জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারালেন সিরিয়ার অন্তত ১৪ জন নাগরিক। নিহত ৪ সেনাও। জঙ্গিদের গুলিতে আহত বেশ কয়েকজন। এখনও নিখোঁজ কমপক্ষে পঞ্চাশ জন।
জানা গিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বে ইরাক সীমান্তে ডেইর-এজ জাওয়ার প্রদেশে ট্রাফলস বা এক ধরণের ব্যাঙের ছাতার খোঁজে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী। সেই সময় তাঁদের উপর হামলা চালায় আইএস জঙ্গিরা। জেহাদিদের হাতে আক্রান্ত হন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সেসের জওয়ানরাও। এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, ইসলামিক স্টেটের হামলায় মৃত্যু হয়েছে এনডিএফের ৪ সদস্যেরও। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। আহতদের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেও মরুভূমিতে সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালিয়েছিল জেহাদিরা। সেবারেও ছত্রাকের সন্ধানে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন অন্তত ১৪ জন। নাশকতার জন্য সেখানে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছিল জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় খাদ্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। নির্দিষ্ট মরশুমে মরুভূমিতে ট্রাফলস পাওয়া যায়, যা বহুমূল্য। বালির ভিতর থেকে তা সংগ্রহ করতে হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মরুভূমিতে এই ট্রাফলস সংগ্রহের মরশুম। আর সেটাকেই টার্গেট করে জঙ্গিরা। মরুভূমিতে ল্যান্ডমাইনের (Landmines) ফাঁদ পেতে রাখে। তাতে পা দিলেই নিশ্চিত মৃত্যু। এভাবেই এতদিন ট্রাফলস সংগ্রহের মরশুমে হত্যালীলা চালিয়েছে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী।
উল্লেখ্য, এক সময় আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির ত্রাসে কাঁপত ইরাক ও সিরিয়া। বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে ‘খিলাফত’ বা ইসলামি সাম্রাজ্য স্থাপনের ছক ছিল তাঁর। কিন্তু সেই স্বপ্ন সফল হয়নি। ২০১৯ সালে ইদলিবে মার্কিন কমান্ডোদের হাতে খতম হয় বাগদাদি। তবে কোমর ভাঙলেও এখনও বিষদাঁত ভাঙেনি ইসলামিক স্টেটের। ইরাক, সিরিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ধীরে ধীরে শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.