Advertisement
Advertisement

Breaking News

Kabul Airport Blast

Afghanistan Blast: কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরণের নেপথ্যে পাকিস্তানের ‘মানসপুত্র’ ফারুকি!

বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান।

ISIS Face Mawalawi Farooqi Behind Deadly Kabul Airport Blast
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 27, 2021 1:52 pm
  • Updated:August 27, 2021 5:15 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের (Afghanistan) রাজধানী কাবুল (Kabul)। হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় হওয়া বিস্ফোরণগুলিতে ১৩ জন মার্কিন সেনা-সহ প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯০ জন সাধারণ মানুষ। আর এই পৈশাচিক হামলার নেপথ্যে হাত থাকতে পারে পাকিস্তানের ‘মানসপুত্র’ ইসলামিক স্টেট (ISIS) জঙ্গি মওলাই আসলাম ফারুকির বলে মনে করছেন অনেকে।

[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ‘পাকিস্তান আমাদের জন্ম দিয়েছে, ওটাই দ্বিতীয় বাড়ি’, জানিয়ে দিল তালিবান মুখপাত্র]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কাতারের রাজধানী দোহায় তালিবানের সঙ্গে আমেরিকা ও আফগান সরকারের শান্তি আলোচনার জেরে বহু কুখ্যাত জঙ্গিকে মুক্তি দেওয়া হয়ে থাকতে পারে। পাকিস্তানের ‘মানসপুত্র’ ফারুকি তাদের মধ্যে অন্যতম। জানা গিয়েছে, কাবুলের গুরুদ্বারে হওয়া হামলাতেও ফারুকির যোগসাজশ ছিল। ওই হামলায় ২৭ জন মারা গিয়েছিলেন। ঘটনার তদন্ত চলাকালীন ফারুকি ঘটনার দায় স্বীকার করেছিল। তার বয়ান অনুযায়ী, ওই বিস্ফোরণে পাকিস্তানের বড়সড় ভূমিকা ছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসামাত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখা (ISIS-K) তৈরি হয়। জন্মলগ্ন থেকেই তালিবান জঙ্গিদের নিজেদের দলে আনার চেষ্টা শুরু করে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। আর নিজেদের মতো ‘খিলাফত’ তৈরির চেষ্টায় তালিবানের (Taliban) সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে আইএস। ভারতে বর্তমানে সক্রিয় ইসলামিক স্টেটের সেলগুলি খোরাসান শাখার অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন গোয়েন্দারা। তারপর ২০১৮ সালে নানগরহার প্রদেশে প্রত্যাশামতো ফল না করায় খোরাসান শাখার শীর্ষপদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় আবু ওমর খোরাসানি ওরফে মওলাই জিয়া উল হককে। তার জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় মওলাই আসলাম ফারুকিকে।

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে ছাড়া পাওয়ার পর ফারুকি পুরনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।  সাঙ্গোপাঙ্গোদের সঙ্গে মিলে ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে থাকতে পারে সে। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলিও ওই হামলা ঘটাতে চেয়েছিল। তাঁর দাবি, পাকিস্তান চায় আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের ভিত নাড়িয়ে দিতে, আতঙ্ক জিইয়ে রাখতে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ইসলামিক স্টেট ও তালিবানের মধ্যে বিরোধ নতুন নয়। আইএসের দাবি,  আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ তালিবান। মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়।

[আরও পড়ুন: Kabul Blast-এর নেপথ্যে Taliban-ISIS আঁতাত! পাকিস্তানকেও ঠুকলেন আফগান ‘কার্যকরী প্রেসিডেন্ট’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement