সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় চার বছর ধরে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে পরাজিত ইসলামিক স্টেট৷ একদা ইরাক ও সিরিয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে গড়ে উঠা খিলাফত বিধ্বস্ত৷ আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনটির শেষ গড় বাঘউজ দখলের চূড়ান্ত লড়াইয়ের শেষে শনিবার এমনটাই জানিয়েছে মার্কিন মদতপুষ্ট কুর্দিশ মিলিশিয়া ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস’ (এসডিএফ)৷
[ব্রেক্সিট জটে জেরবার মে, সময়সীমা বাড়াতে রাজি ইউরোপীয় ইউনিয়ন]
এদিন টুইটারে ইসলামিক স্টেটের পরাজয়ের কথা ঘোষণা করে এসডিএফ-এর এক শীর্ষ কমান্ডার৷ লড়াই যে শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে তা কদিন থেকেই বোঝা যাচ্ছিল৷ একের পর এক গড় খুইয়ে শেষমেশ দোর্দণ্ডপ্রতাপ খিলাফত আশ্রয় নেয় বাঘউজের ধ্বংসস্তূপে৷ কিন্তু ততদিনে সিরিয়ার এই প্রান্তিক শহরটি যেন মৃত্যুপুরী৷ মার্কিন বোমারু বিমান ও এসডিএফ-এর গোলাবর্ষণে পুড়ে কালো হয়ে গিয়েছিল বহুতলগুলি৷ না ছিল পানীয় জলের ব্যবস্থা, না বিদ্যুৎ৷ আহতদের জন্য চিকিৎসা বলতে ছিল মরফিন৷ তাও ফুরিয়ে এসেছিল শেষের দিকে৷ মাঝসমুদ্রে পালতোলা নৌকাকে যেভাবে ঘিরে ধরে হাঙররা, সেভাবেই শহরের চারপাশে টহল দিচ্ছিল এসডিএফ যোদ্ধারা৷ বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইরাক সীমান্তে অবস্থিত বাঘউজ দখল করার জন্য লড়াই করছিল এসডিএফ৷ চলতি মাসের শুরুতেই শহর থেকে নিরীহ নাগরিকদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা খুলে দেয় কুর্দিশ মিলিশিয়া৷ তবে আইএস জঙ্গিদের যে রেয়াত করা হবে না তা সাফ জানিয়েছিল তারা৷ শুক্রবার বা গতকাল কুর্দিশ বাহিনীর মুখপাত্র মুস্তাফা বালি টুইটারে জানিয়েছিলেন, বাঘউজ দখলের শেষ লড়াই চলছে৷ শীঘ্রই শহর হস্তগত হয়ে যাবে কুর্দিশ বাহিনীর৷
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিষয়টি জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা সচিব প্যাট্রিক শ্যানন৷ তিনি বলেন, “সিরিয়ায় আরও কোনও জায়গা দখল করে নেই ইসলামিক স্টেট৷ উল্লেখ্য, প্রায় এক দশক আগে ‘আল কায়দা’র শাখা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে জঙ্গি সংগঠনটি৷ ২০০৬ সালে ‘আইএসআই’ বা ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক’ নাম গ্রহণ করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী৷ ইরাকে সাদ্দাম হুসেনের পতনের পর থেকেই রাজধানী বাগদাদে নাশকতা চালাতে শুরু করে দলটি৷ তবে মার্কিন সেনার পালটা হামলায় বাগদাদ ছাড়তে বাধ্য হয় তারা৷ কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে মসুলে শক্তি সংগ্রহ করতে নেমে পড়ে ‘আইএসআই’৷ ২০১০ সালে সংগঠনের রাশ ধরে কুখ্যাত জঙ্গি আবু বকর আল-বাগদাদি৷ দু’বছরের মধ্যেই সিরিয়ায় ‘জাভাত আল-নুসরা’ নাম নিয়ে উপস্থিতি জানান দেয় সংগঠনটি৷ তারপর ‘আইএসআই’ ও ‘আল নুসরা’ মিলে গঠন করা হয় ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড সিরিয়া’ বা আইএসআইএস৷
Few #SDF units left #Baghuz-front to go home,after succefully fighting #ISIS. Together they commemorate the Sehids & celebrated. Remember all meaning of this war, there are no words describing this atmosphere, looking in all this beautiful faces, reading in their eyes. #YPJIntDeZ pic.twitter.com/trN5LgOLS4
— YPJInternational (@YPJInternation3) March 20, 2019
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.