Advertisement
Advertisement
বাগদাদি

সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনীর অভিযান, গোপন ডেরা থেকে গ্রেপ্তার বাগদাদির বোন

স্বামী ও পুত্রবধূ-সহ ধরা পড়েছে নিহত আইএস প্রধানের বোন রাসমিয়া আওয়াদ।

ISIS chief Baghdadi's sister captured by Turkish forces in Syria
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 5, 2019 9:54 am
  • Updated:November 5, 2019 9:54 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসেই মার্কিন ফৌজের হতে খতম হয়েছে বিশ্বত্রাস আবু বকর আল বাগদাদি। এবার তুরস্কের বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হল তার বোন। আঙ্কারার এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সিরিয়ার আজাজ শহরে স্বামী ও পুত্রবধূ-সহ ধরা পড়েছে নিহত আইএস প্রধানের বোন রাসমিয়া আওয়াদ।

জানা গিয়েছে, গোপন সুত্র খবর পেয়ে সোমবার উত্তর সিরিয়ার অজাজ শহরের এক ডেরা থেকে বাগদাদির বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধরা পড়ার সময় রাসমিয়ার সঙ্গে ছিলেন তাঁর পাঁচ সন্তান। তুরস্ক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বাগদাদির বোনকে জেরা করে আইএস সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার একটি অডিও টেপ প্রকাশ করে শীর্ষ নেতার মৃত্যুর কথা স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। একইসঙ্গে আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই অডিও টেপটিতে। পাশাপাশি নয়া প্রধানের নামও ঘোষণা করে সংগঠনটি। বর্তমনে আইএস নিয়ন্ত্রণ করছে কুখ্যাত জঙ্গি আবু ইব্রাহিম আল হাশিমি আল কুরেশি।

Advertisement

২০১৪ থেকে ‘১৭ সালের মধ্যে ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করত বাগদাদি। নিজেকে খলিফা বলে দাবি করত ওই জঙ্গিনেতা। পরে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী আইএস-এর অধীনে থাকা এলাকা পুনর্দখল করে। জানা যায়, ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সালের মধ্যেই আফগানিস্তানে জিহাদি প্রশিক্ষণ নেয় বাগদাদি। নব্বইয়ের দশকে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ছাত্র ছিল বাগদাদি। ২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনী যখন ফের ইরাকে অভিযান শুরু করে তখন বাগদাদি অবশ্য পুরোপুরি জঙ্গি। ২০০৪ সালে তাকে প্রথম এবং শেষবারের জন্য গ্রেপ্তার করেছিল মার্কিন বাহিনী। পাঠানো হয়েছিল বুক্কা ক্যাম্পে, সেখানে ১০ মাস কাটায় বাগদাদি। তখন বেশিরভাগ সময়ই ধর্মীয় চর্চা করত বাগদাদি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির নেতাদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ঘটে। বুক্কা ক্যাম্প থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ইরাকের আল কায়দা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বাগদাদি। যদিও, পরে ওই জঙ্গি সংগঠন ভেঙে দিয়ে তার নাম রাখা হয় আইএস। বিরোধী গোষ্ঠীগুলিকে এক জায়গায় আনার ক্ষমতা, ধর্মীয় পড়াশোনা- সমস্ত কিছু বাগদাদিকে নেতা হিসাবে উঠে আসতে সাহায্য করেছিল।

[আরও পড়ুন: বাগদাদির মৃত্যুর খবর স্বীকার ইসলামিক স্টেটের, নয়া প্রধানের নাম ঘোষণা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement