সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক সন্ত্রাসবাদী হামলায় রক্তাক্ত আফগানিস্তান। ফের জেহাদিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে আফগান-পাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলি। মার্কিন সেনার প্রস্থানে দেশটিতে কার্যত অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই সমস্ত কিছুর জন্যই ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করেছে তালিবান।
বিগত দিনে আফগানিস্তানের একাধিক মসজিদ ও স্কুলে হামলার দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (ISIS)। কিছুতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না মোল্লা হায়বাতোল্লা আখুন্দজাদার দল। উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তালিবানের কার্যনির্বাহী বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি দাবি করেছে, আফগানিস্তানে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে আইএস জঙ্গিরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ১৫ আগস্ট, ২০২১ কাবুল দখল করে তালিবান। তারপরই একের পর এক জেল থেকে ইসলামিক স্টেট ও আল কায়দা জঙ্গিদের মুক্তি দেয় তারা। আর আজ সেই জঙ্গিরাই নাকি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৫ জুলাই তাসখন্দে আমেরিকা-সহ তালিবানের (Taliban) সঙ্গে দু’দিনের আলোচনায় বসে প্রায় ৩০টি দেশের প্রতিনিধি। সেখানে তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি জানায় যে, গত বছর প্রায় ১ হাজার ৮০০ আইএস জঙ্গিকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে। কিন্তু, সম্মেলনে নিজর কথা নিজেই খণ্ডন করে মুত্তাকি বলে, “গত ১১ মাস ধরে দেশে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালাচ্ছে জেলমুক্ত আইএস জঙ্গিরা।” সবমিলিয়ে, আইএস যে এখন তালিবানের গলার কাঁটা তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
প্রসঙ্গত, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.