সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইঙ্গিত ছিলই৷ ছিল আশঙ্কা এবং সতর্কবার্তা৷ সন্ত্রাসবাদীরা যে শ্রীলঙ্কার গির্জাগুলিকে টার্গেট করেছে, দিন দশেক আগেই শ্রীলঙ্কা পুলিশের কাছে এমন খবর ছিল৷ এক, দুটি চার্চে আত্মঘাতী হামলা বলে গোপন সূত্রে সতর্ক করা হয়েছিল গত ১১ তারিখ৷ সেইমতো শ্রীলঙ্কা পুলিশের প্রধান পুজুথ জয়সুন্দর শীর্ষ পুলিশ কর্তাদের সতর্কও করেছিলেন৷ কিন্তু তারপরেও ঘটে গেল রবিবারের ভয়াবহ হামলা৷
গত ১১ তারিখ দেশের সমস্ত বড় থানাগুলিকে, বিশেষত রাজধানী কলম্বোকে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল এই মর্মে, ‘এক বিদেশি গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, এনটিজে নামে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী কয়েকটি বিখ্যাত গির্জায় আত্মঘাতী হামলা চালাতে পারে৷ কলম্বোর ভারতীয় দূতাবাসটিও তাদের টার্গেট৷’ এরপরও কীভাবে এতগুলো গির্জা, হোটেলে ঢুকে হামলা চালাল সন্ত্রাসবাদীরা? এই প্রশ্ন স্বভাবতই তোলপাড় ফেলেছে৷ প্রশ্ন উঠছে এনটিজে বা ন্যাশনাল তৌহিত জামাত কারা? জানা যাচ্ছে, এরা মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদী দ্বারা প্রভাবিত একটি সংগঠন৷ এর আগে শ্রীলঙ্কা বৌদ্ধস্তূপগুলি ধ্বংসের জন্য এরা দায় স্বীকার করেছিল৷ কাজেই গির্জায় হামলা চালানো ইসলামিক আদর্শে বিশ্বাসী এনটিজে সন্দেহের তালিকায় একেবারে শীর্ষে থাকার কারণটি খুব স্পষ্ট৷
রবিবার অর্থাৎ ২১ এপ্রিল দিনটা কলম্বোর ইতিহাসে সত্যিই এক কলঙ্কিত দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে৷ সকালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর দুপুরেও আরও দু’বার বিস্ফোরণ ঘটেছে শহরে৷ এখনও হামলার দায় স্বীকার করেনি কেউ৷ অনেকের সংশয়ের তির আবার ব্ল্যাক টাইগার বা কুখ্যাত এলটিটিই-র দিকেও৷ তার মূল কারণ, হামলার ধরন৷ ঠিক যে কায়দায় এলটিটিই সক্রিয় থাকার সময়ে আত্মঘাতী হামলা চালাত, সেভাবেই গির্জা এবং হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে৷ তাহলে কি গৃহযুদ্ধ পরবর্তী ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপে কড়া প্রশাসন থাকা সত্ত্বেও তলে তলে সক্রিয় রয়েছে ব্ল্যাক টাইগাররা? এই সংশয়ও দৃঢ় হচ্ছে৷ বলা হচ্ছে, রবিবার ইস্টারের প্রার্থনা চলাকালীন গির্জা এবং হোটেলগুলিতে ধারাবাহিক হামলা গৃহযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ নাশকতা৷ কলম্বো হামলার নেপথ্যে আসলে কারা, তা তো তদন্ত সাপেক্ষ৷ তবে সাম্প্রতিককালে এধরনের ঘটনা একটি মোক্ষম প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে গোটা বিশ্বকেই৷ কেন জঙ্গি হামলার টার্গেটের শীর্ষে ধর্মীয় স্থান?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.