Advertisement
Advertisement
China

নতুন ভাইরাস কতটা ভয়ংকর? করোনার মতো এবারও কি তথ্য গোপন? বেজিংয়ের বিবৃতিতে প্রশ্ন

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রর কথায়, 'শীতের সময়ে শ্বাসকষ্ট জনিত সংক্রমণ বাড়েছে। এটাও তেমনই। তাছাড়া এতে ব্যাপক সংক্রমণের কোনও খবর নেই।'

Is China trying to hide the danger of HMPV? question raises after Beijing's statement

প্রতীকী ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:January 3, 2025 11:03 pm
  • Updated:January 3, 2025 11:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর চার আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে যে নামটা ছড়িয়েছিল, তা হল চিনের ইউহান প্রদেশ। সেখানকার সামুদ্রিক প্রাণী থেকে অথবা গবেষণাগারের ভাইরাস থেকে হু হু করে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বলে একাধিক তথ্য মিলেছে। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও আছে। চার বছর পর ২০২৫-এর গোড়ায় ফের সেই চিনেই হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস তথা এইচএমপিভি-র দাপট দেখা দিল। যার জেরে ফিরছে করোনার আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে বেজিং অবশ্য বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, কোনও বিপদ নেই। ভয়েরও কোনও কারণ নেই। বিদেশি পর্যটকদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ চিন। আর এই বিবৃতিতেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি এবারও সত্য গোপনে মরিয়া জিনপিংয়ের দেশ? ঠিক যেমনটা হয়েছিল ২০২০ সালের মার্চে। কোভিড সংক্রমণের খবর বেমালুম চেপে গিয়েছিল চিন।

বছরের গোড়াতেই চিনজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এই এইচএমপিভি আসলে কী? জানা গিয়েছে, এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হলে সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই উপসর্গ দেখা যায়। নাক দিয়ে লাগাতার জল পড়া, গলায় অসম্ভব ব্যথা হয়। অর্থাৎ ফ্লু-এর মতো সমস্ত উপসর্গ। তবে শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা রীতিমতো প্রাণঘাতী হতে পারে। এছাড়া যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরাও গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন এই ভাইরাস দ্বারা। শীতে এইচএমপিভির প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। তথ্য বলছে, এমনকী ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়াও বাড়ছে। এবং গোদের উপরে বিষফোঁড়ার মতো অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন কোভিডেও!

Advertisement

চিনের হাসপাতালগুলিতে এখন এই এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। কিন্তু শুক্রবার বেজিংয়ের তরফে বিবৃতি জারি করে এই উদ্বেগ অনেকটা কমানোর চেষ্টা হল। বলা হল, শীতকালে শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বাড়ে। এটাও তেমনই সাধারণ সমস্যা। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিংয়ের কথায়, ”উত্তর গোলার্ধে শীতের সময়ে শ্বাসকষ্ট জনিত সংক্রমণ বাড়েছে। এটাও তেমনই। তাছাড়া এতে ব্যাপক সংক্রমণের কোনও খবর নেই। আমি চিন সরকারের তরফে নিশ্চিত করতে পারি যে এখানে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও বিপদ নেই। না দেশবাসীর, না বিদেশিদের। নিশ্চিন্তে চিনে আসতে পারেন পর্যটকরা।” তবে শীতে বেড়ানোর জন্য সাবধানতা অবলম্বনের কথাও বলেছেন তিনি।

আর বিদেশ মন্ত্রকের এই বিবৃতিতে ফের প্রশ্ন উঠে গিয়েছে চিনের গোপন করার প্রবণতা নিয়ে। এমনিতেই গোটা বিশ্বের কাছে কমিউনিস্ট চিনের রাখঢাক স্বভাব সর্বজনবিদিত। কূটনৈতিক স্তরে সে দেশের সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসে না। ২০২০ সালে যখন করোনা ভাইরাস প্রথম চিনকে গ্রাস করল, সেসময় দেশের পরিস্থিতি এতটুকুও বাইরে আসতে দেয়নি প্রশাসন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সোশাল মিডিয়ায় তথ্য আদানপ্রদানও। এবারও কি এইচএমপিভি নিয়ে সে পথেই হাঁটছে চিন? আসন্ন বিপদকে স্রেফ আড়াল করতে গিয়ে গোটা বিশ্বের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ কি আরও অনিশ্চিত করে দিচ্ছে?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement