সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার গভীর রাতে ইজরায়েলে মিসাইল ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে ইরানের সেনাবাহিনী। আর তার পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং ‘ওয়ার্ল্ড ওয়ার ৩’ ও ‘ডবলিউ ডবলিউ ৩’। প্রশ্ন উঠছে যেভাবে যুদ্ধের মেঘে কালো মধ্যপ্রাচ্যের আকাশ, তা কি ডেকে আনবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War 3)?
জানা যাচ্ছে, দুশোর বেশি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে ইরান (Iran)। প্রত্যুত্তর দিয়েছে ইজরায়েল (Israel)। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। দেশ জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ ও সাইরেনের কর্কশ ধ্বনি। কেন হঠাৎ হামলা করল ইরান? আসলে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। যেখানে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার পিছনে ইজরায়েলের ‘হাত’-ই দেখছে তেহরান। তার পর থেকেই ইজরায়েলকে লাগাতার হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল ইরান। এবার আশঙ্কা সত্যি করে শুরু হয়ে গিয়েছে যুদ্ধ।
আর এই পরিস্থিতিতে নেট ভুবনে ভেসে উঠেছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ছায়া! এক নেটিজেন লেখেন, ‘পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে ইজরায়েল ইরানের হাতে আক্রান্ত। আসুন প্রার্থনা করি এই যুদ্ধ যেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে না আনে।’ আবার আর একজন এক কদম এগিয়ে লিখেছেন, ‘ইরান ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে শুরু করে দিয়েছে, তেল আভিভ আক্রান্ত। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে।’ কিন্তু সত্যিই কি তেমন কোনও আশঙ্কা রয়েছে? এক এআই চ্যাটবট এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘এখনই এটা বলা অসম্ভব যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে কিনা। পৃথিবী জুড়ে আশঙ্কা রয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন গত কয়েক দশকের তুলনায় বড়সড় সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’
হামাস-ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘাতের মধ্যেই ইরানের এই হামলা ঘিরে বিশ্বজুড়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর পর কী? মনে করা হচ্ছে, সেটা নির্ভর করছে তিনটে ফ্যাক্টরের উপরে। এক, ইরানের ‘ছায়াযোদ্ধা’ হাউথি ও হেজবোল্লা সরাসরি এই হামলায় অংশ নেয় কিনা। দুই, ইরানের হামলার জবাবে ইজরায়েল তাদের বিখ্যাত ‘আয়রন ডোম’ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে পালটা মার দিয়ে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করে হতাহতের সংখ্যা নগণ্য করে দেয় কিনা, নাকি তা সত্ত্বেও বহু মানুষের মৃত্যু রোধ করতে ব্যর্থ হয়। তিন, ইজরায়েল ইরানের হামলার জবাবে প্রত্যাঘাত করে কিনা। এই বিষয়গুলো স্পষ্ট হতে শুরু করলেই যুদ্ধের ভবিষ্যৎ-ছবিটা বোঝা সহজ হবে।
এদিকে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ইজরায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। যদিও তেহরানের তরফে হুঁশিয়ারি, ইজ়রায়েলের হয়ে যে দেশ অস্ত্র ধরবে, তাদেরও জবাব দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে বাকি দেশগুলো কী অবস্থান নেয়, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কী হয় সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.