সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আক্রমণ-পালটা আক্রমণে বাড়ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ঝাঁজ। আর এই লড়াইয়ে ‘লাভবান’ হচ্ছে ইরান! মস্কোকে ফেচ-১১০ ও জোলফাগার সিস্টেমের মতো স্বল্প দূরত্বের ব্য়ালিস্টিক মিসাইল বিক্রি করেছে তেহরান। আর তাতেই এবার নতুন করে তাদের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্স। যদিও সবই অস্বীকার করেছে ইরান। জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা জারির ‘জবাব’ দেবে তারা।
ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসিল কান্নানি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”ইউরোপের দেশগুলো পশ্চিমের শত্রুতাপূর্ণ নীতি ও আর্থিক সন্ত্রাস অব্যাহত রেখে ইরানের মানুষের প্রতি যে পদক্ষেপ করেছে তার যথাযথ জবাব দেবে ইরান।” সেই সঙ্গেই বিভিন্ন দেশকে ইরানের মিসাইল সরবরাহের যে অভিযোগ, তাকেও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, এই ধরনের রিপোর্ট একেবারেই ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিকর। এর আগে ইরানের বিদেশমন্ত্রীও জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাশিয়াকে মোটেই ব্যালিস্টিক মিসাইল সরবরাহ করেননি তাঁরা।
কিন্তু আমেরিকা বরাবরই বলে এসেছে ইরান ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ড্রোন সরবরাহ করে চলেছে। আর সম্প্রতি ওয়াশিংটন জানিয়েছিল, এমাসেই প্রথমবার ইউক্রেনকে ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়েছিল ইরান। রীতিমতো স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে তা দেখা গিয়েছে বলে দাবি। রাশিয়া নাকি ইতিমধ্যে তাদের সেনাকে প্রস্তুত করছে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করার বিষয়ে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধে দু’ভাগে বিভক্ত হয়েছে বিশ্ব। রাশিয়া-চিন-ইরান অক্ষের বিরুদ্ধে পরোক্ষে লড়াই চালাচ্ছে আমেরিকা ও ন্যাটো জোট। গত বছর আমেরিকা দাবি করেছিল, ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি শামিল হয়েছে ইরানের সেনা। অভিযোগ উঠেছিল রুশ সেনাদের ড্রোন চালানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইরানি ফৌজ। একই অভিযোগ জানিয়েছিল ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি ছিল, রাশিয়াকে শক্তিশালী কামিকাজে ড্রোন দিয়ে সাহায্য করছে ইরান। যার নাম ‘শাহেদ-১৩৬’। আত্মঘাতী এই ড্রোন ঝাঁকে ঝাঁকে আছড়ে পড়ছে ইউক্রেনে। এবার উঠল নয়া অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.