সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার রাত থেকে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইরান (Iran)। কিন্তু এবার সেদেশের সেনাপ্রধান জানিয়ে দিলেন, তাঁদের আক্রমণ সমস্ত লক্ষ্য অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, হামলা চালিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নেই তাঁদের। তবে যদি ইজরায়েলের তরফে কোনও হামলা হয়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই পরবর্তী আক্রমণ আরও বড় হতে চলেছে। ইরানের সেনার এমন মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, আপাতত সংঘর্ষে দাঁড়ি পড়ল।
ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি জানিয়েছেন, ”গত রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত যে হামলা চালানো হয়েছে সেটি লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছে।” তাঁর এমন মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, আপাতত আর হামলা চালাবে না তেহেরান। প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। যেখানে অন্তত ১৩ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। মৃতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। এই হামলার বদলা নিতেই এদিন তেহেরানের এই ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা।
কিন্তু যেখানে বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রই ধ্বংস করে দিয়েছে ইজরায়েল, সেখানে কেন থেমে যাচ্ছে ইরান? মনে করা হচ্ছে, মার্কিন ও পশ্চিমী বিশ্বের রক্তচক্ষুর কারণেই ইরান এই লড়াইকে ‘সীমাবদ্ধ’ রাখল। এই ‘সীমিত সংঘর্ষে’র মাধ্যমে ইজরায়েলকে (Israel) বার্তাটুকু দিয়ে রাখাই উদ্দেশ্য ছিল। এদিকে এই হামলাকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এর আগে সিরিয়া, লেবাননে থাকা তাদের ছায়াসঙ্গী হেজবোল্লা থেকে হাউথিদের মাধ্যমে হামলা চালালেও ইরানের ভূমি থেকে তাদের সেনার এহেন আগ্রাসন সাম্প্রতিক অতীতে এই প্রথম। এর মাধ্যমে কেবল ইরান নয়, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশগুলিকে বড়সড় বার্তা দেওয়াই হামলার মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) নেতানিয়াহুকে জানিয়ে দিয়েছেন, ইজরায়েল যদি ইরানে পালটা আক্রমণ করে সেটা মেনে নেবে না ওয়াশিংটন। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। ফোনে তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন, ”আপনি জিতে গিয়েছেন। সেই জয়টা নিয়েই থাকুন।” সেই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন আগামিদিনেও ইরানের হামলায় ইজরায়েলকে সাহায্য করবে আমেরিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.