সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে মুক্তি পেলেন ইরানের জেলে থাকা ৯ ভারতীয় নাবিক। ১৩ জুলাই হরমুজ় প্রণালীতে জ্বালানি চোরাচালানের দায়ে এমটি রিয়াহ নামে পানামার একটি তেলবাহী জাহাজ আটক করেছিল ইরানের উপকূলরক্ষী বাহিনী। সেই জাহাজের বন্দি ১২ জন ভারতীয় কর্মীর মধ্যে ৯ জনকে মুক্তি দিয়েছে ইরান। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
[আরও পড়ুন: কারগিল বিজয় দিবস: এই তথ্য জানলে দেশবাসী হিসেবে আপনিও গর্বিত হবেন]
বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার জানিয়েছেন, নয়জন ভারতীয় নাবিককে মুক্তি দিয়েছে ইরান। অতি শীঘ্রই তাঁরা দেশে ফিরে আসবেন। তেহরানের কাছে বাকি তিন বন্দী নাবিককেও মুক্ত করার আবেদন জানানো হয়েছে। এদিকে, ১৯ জুলাই হরমুজ়েই আটক ব্রিটিশ ট্যাঙ্কার জাহাজ ‘স্টেনা ইম্পেরো’-র ১৮ জন ভারতীয় নাবিকের সঙ্গে যাতে ভারতীয় দূতাবাস যোগাযোগ করতে পারে, তারও অনুমতি দিয়েছে তেহরান। প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ‘শান্তিপূর্ণ’ কাজের জন্য তেজস্ক্রিয় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কথাও বলেছে ইরান। পালটা সৌদি আরবে ফৌজ মোতায়েন করে ও পারস্য সাগরে রণতরী পাঠিয়ে জবাব দিয়েছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, জুলাইয়ের গোড়ায় ভূমধ্যসাগরের জিব্রাল্টার প্রণালীতে ইরানের একটি ট্যাঙ্কার আটক করে ব্রিটিশ নৌসেনা। অভিযোগ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা না মেনে সেই ট্যাঙ্কারে সিরিয়ায় তেল পাঠাচ্ছিল ইরান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের দাবি, প্রতিশোধ নিতেই স্টেনা ইম্পেরো আটক করে রেখেছে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড। ইরানে আটক ‘গ্রেস-১’ জাহাজেও ২৪ জন ভারতীয় কর্মী রয়েছেন। সম্প্রতিই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ভারতীয় দূতাবাস। গত বুধবারই সেই অনুমতি দেওয়া হয় ভারতকে। বিদেশমন্ত্রকের দাবি, এঁদেরও শীঘ্রই ফেরানো নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চলছে।
মধ্যপ্রাচ্যে অধিকাংশ সংঘর্ষের নেপথ্যেই রয়েছে তৈল ভাণ্ডার। ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের সময় কুয়েতের প্রায় ৭০০টি তেলের কুয়ো জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেন। বর্তমানেও আমেরিকা বনাম ইরান তরজায় তেলের কুয়োয় আঘাত না আসলেও জ্বালানি বয়ে নিয়ে যাওয়া ট্যাঙ্কারগুলির উপর একাধিক হামলা হয়েছে। তেলবাহী জাহাজগুলিকে আটকে রেখে একপ্রকার ইরান ও মার্কিন বলয়ের দেশগুলির মধ্যে অঘোষিত লড়াই চলছে।
[আরও পড়ুন: কারগিল যুদ্ধের নেপথ্যে ছিল পাকিস্তানের কুচক্রী এই ‘গ্যাং অফ ফোর’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.