সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন হানায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ মধ্যপ্রাচ্য। দ্রুত ঘনিয়ে আসছে যুদ্ধের মেঘ।এহেন পরিস্থিতিতে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি তারা মানবে না।
ইরানের এই সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা বিশ্ব। ২০১৫ সালে আমেরিকার চপেই পরমাণু চুক্তিতে সায় দিয়েছিল ইরান। তবে সোলেমানির মৃত্যুর পর পালটে গিয়েছে পরিস্থিতি। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইরান এবার পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করতে পারে। আর তা হলে ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলে আণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা আরও জোরদার হবে। এদিকে, উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটে তাঁর হুঁশিয়ারি, “ইরানের ৫২টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে টার্গেট করেছে আমেরিকা। ইরানের তরফ থেকে মার্কিনি সম্পদ বা আধিকারিকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে, পালটা সেইসব গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হামলা চালাবে মার্কিন সেনা।”
সিএনএন জানিয়েছে, রবিবার তেহরানে ক্যাবিনেট মিটিংয়ের শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পরমাণু চুক্তি আর মানা হবে না। ২০১৬ চুক্তিটি বলবৎ হয়। এর ফলে সমস্ত পারমাণবিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দেয় ইরান। পালটা সে দেশের উপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে রাজি হয় আমেরিকা। ইরানের সরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি জানিয়েছেন, “পরমাণু চুক্তি অনুযায়ী গবেষণায় অনেক নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতাম। কিন্তু ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান আর কোনও বিধিনিষেধ মেনে চলতে বাধ্য নয়। ”
এদিকে, দেশ থেকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বিদেশি সেনাদের বহিষ্কার করার প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে ইরাকের সংসদ। পালটা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে এহেন পদক্ষেপ করলে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে ইরাককে। সব মিলিয়ে, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা। এবং এর প্রভাব যে গোটা বিশ্বজুড়ে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.