Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইরান

আমেরিকার ও ইজরায়েলের হয়ে কাজ, ‘গুপ্তচর’কে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান

জেনারেল কাশেম সোলেমানির উপর চরবৃত্তিতে লিপ্ত ছিলেন মজিদ।

Iran hangs man accused of spying for US, Israeli intelligence

ছবি: প্রতীকী

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 20, 2020 3:19 pm
  • Updated:July 20, 2020 3:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা ও ইজরায়েলের হয়ে ‘চরবৃত্তি’র অপরাধে সোমবার এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝোলাল ইরান। এমনটাই জানিয়েছে ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইসলামিক রিপাবলিক অব ইরান ব্রডকাস্টিং (IRIB news agency)।

[আরও পড়ুন: ইতিহাস গড়ল আমিরশাহী, লালগ্রহের আবহাওয়ায় নজর রাখতে উড়ে গেল আরবের প্রথম মঙ্গল যান]

ইরানি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০১৮ সালে মাহমুদ মৌসাভি মজিদ নামের ওই ইরানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তারপর চরবৃত্তির অপরাধে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। গত মাসে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে ইরানের সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে আদালতে ইরান সরকার দাবি করে, প্রাক্তন সেনাকর্তা জেনারেল কাশেম সোলেমানির উপর গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত ছিলেন মজিদ। এবং আমেরিকা ও ইজরায়েলের অঙ্গুলিহেলনেই সেই কাজ করছিলেন তিনি। যদিও এই মামলাটি সোলেমানি-হত্যার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে ইরান। গত জুন মাসেই সোলেমানি হত্যার মামলা নিয়ে এক বিবৃতি দেন ইরানের বিচারবিভাগের মুখপাত্র গোলাম হুসেন ইসমাইলি। তিনি সাফ বলেছিলেন, “কাডস ফোর্স ও জেনারেল কাশেম সোলেমানির গতিবিধির বিষয়ে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও আমেরিকার সিআইএকে গোপন তথ্য পাচার করেছেন মৌসাভি।”

Advertisement

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মার্কিন ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় জেনারেল কাশেম সোলেমানির। বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কিছুক্ষণ পরই সোলেমানির গাড়িতে আছড়ে পড়ে একের পর এক মিসাইল। ওয়াশিংটনের দাবি ছিল, বাগদাদে মার্কিন সেনার উপর সামরিক মদতে পুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীর মাধ্যমে হানা চালানোর মূল চক্রী ছিলেন সোলেমানি। সেই হামলার ‘প্রতিশোধ’ তুলতেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে বাগদাদে ওই ড্রোনহানা চালানো হয়েছিলএকাধিক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, সোলেমানিকে নিকেশ করেছে অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ‘MQ-9 Reaper’। একবার জ্বালানি ভরে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চলতে সক্ষম এই চালকবিহীন বিমানটি। ‘MQ-9 Reaper’ ড্রোনটির সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে ৪৮২ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা, যা রাতেও যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি পরিষ্কার পাঠিয়ে দেয় সুদূর ঘাঁটিতে বসে থাক চালকের মনিটরে। মার্কিন বাযুসেনার এই ড্রোনটির প্রধান অস্ত্র ‘GBU-12 Paveway II’ লেসার গাইডেড বম্ব ও ‘AGM-114 Hellfire II’ ও ‘AIM-9 Sidewinder’ মিসাইল। পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোলেমানির কনভয়ে ‘Hellfire II’ মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন ড্রোন।

[আরও পড়ুন: অনেক হয়েছে বিপ্লব! এবার হংকংবাসীদের ‘মগজধোলাই’ করবে জিনপিং সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement