সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে ইরাকে মার্কিন সেনার দু’টি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। বুধবার আমেরিকার ফৌজকে নিশানা করে প্রায় এক ডজন মিসাইল ছুঁড়েছে ইরানের সেনা।
পেন্টাগন সূত্রে খবর, ইরাকের আইন আল-আসাদ এবং ইরবিল সেনাঘাঁটিতে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। ওই দুই ঘাঁটিতে ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে রয়েছে আমেরিকার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বাহিনীও। হামলায় কারও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরানের সেনাবাহিনী। কমান্ডার কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর বদলা নিতেই এই হামলা বলে সরকারি সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে ইরানি ফৌজ। তার আরও দাবি করেছে আমেরিকা প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করলে আরও কড়া জবাব দেওয়া হবে।
হামলার সমর্থনে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফ লেখেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না। তবে যে কোনও আগ্রাসনের চেষ্টার কড়া জবাব দেওয়া হবে। রাষ্ট্রসংঘের নিয়মাবলী মেনেই যে ফৌজি ঘাঁটিগুলি থেকে সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছিল, সেখানে আমরা হামলা চালিয়েছি।”
Iran took & concluded proportionate measures in self-defense under Article 51 of UN Charter targeting base from which cowardly armed attack against our citizens & senior officials were launched.
We do not seek escalation or war, but will defend ourselves against any aggression.
— Javad Zarif (@JZarif) January 8, 2020
এদিকে, ইরানি হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও একটি টুইট করেছেন। টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “অল ইজ ওয়েল। ইরাকের দু’টি সেনাঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে সব ঠিক আছে। আমাদের সেনা বিশ্বে সবচেয়ে আধুনিক।” পাশাপাশি, ওই অঞ্চলে মার্কিন বিমানগুলির উড়ানও নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা।
All is well! Missiles launched from Iran at two military bases located in Iraq. Assessment of casualties & damages taking place now. So far, so good! We have the most powerful and well equipped military anywhere in the world, by far! I will be making a statement tomorrow morning.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 8, 2020
উল্লেখ্য, মার্কিন হানায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা কাশেম সোলেমানির মৃত্যুর পর থেকেই অগ্নিগর্ভ মধ্যপ্রাচ্য। দ্রুত ঘনিয়ে আসছে যুদ্ধের মেঘ।এহেন পরিস্থিতিতে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি তারা মানবে না। ইরানের এই সিদ্ধান্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা বিশ্ব। ২০১৫ সালে আমেরিকার চপেই পরমাণু চুক্তিতে সায় দিয়েছিল ইরান। তবে সোলেমানির মৃত্যুর পর পালটে গিয়েছে পরিস্থিতি। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে ইরান এবার পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা শুরু করতে পারে। আর তা হলে ভবিষ্যতে ওই অঞ্চলে আণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা আরও জোরদার হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.