সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যি হল আশঙ্কা। শেষমেশ ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান ধংসের কথা স্বীকার করল ইরান। শনিবার এক বিবৃতিতে তেহরান জানিয়েছে, ভুলবশত তাঁদের সেনাবাহিনী বিমানটিকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছিল।
চলতি মাসের ৮ তারিখ বা গত বুধবার, তেহরানের ইমাম খোমেইনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেক উড়ান শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। জানা যায়, বিমানটি ‘ইউক্রেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স’-এর। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয় বিমানের ১৭৬ জন যাত্রীর। তারপরই তড়িঘড়ি ইরান জানিয়েছিল যে যান্ত্রিক গোলযোগের জন্যই দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়েছে বিমানটি। যদিও সেই দাবি নিয়ে দেখা দেয় সন্দেহ। `
ইউক্রেন পালটা দাবি করে, বিমানটিকে মাঝ আকাশেই বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই দাবি থেকে সরে এসে তারা ফের অভিযোগ করে, আমেরিকা বা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ধ্বংস হয়েছে ওই যাত্রীবাহী বিমানটি। ইউক্রেন ইঙ্গিত দিয়েছে, আমেরিকার যুদ্ধবিমান ইরানের আকাশে আগ্রাসন ঘটিয়েছে এটা মনে করেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরানের বায়ুসেনা। এই ভয়াবহ ভুলের খেসারত দিয়েছে নিরীহ যাত্রীবাহী বিমানটি। ইরানি মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয়েছে মাঝ আকাশেই। মৃত্যু হয়েছে ১৭৬ জন বিমানযাত্রীর। একই কথা বলেছে আমেরিকাও। আমেরিকাও দাবি করেছিল, শত্রুর যুদ্ধবিমান হিসাবে ভুল করে ওই বোয়িং যাত্রীবাহী এয়ারবাসকেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ধ্বংস করেছে ইরান। এখন তারা নিজেদের ভুল অস্বীকার করছে।
বুধবার বিমান ধ্বংসের পরই পশ্চিম এশিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে যায়, ইরানের উচ্চপদস্থ কয়েকজন গুপ্তচর ও সেনা অফিসার ছিলেন ধ্বংস হওয়া বিমানে। তাঁরা ইউক্রেন হয়ে রাশিয়া যাচ্ছিলেন গোপন কাজের অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে। তাঁদের হত্যা করতেই নাশকতা চালিয়ে বিমানটি ধ্বংস করেছে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-র এজেন্টরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সব রটনা ইরান সরকার গুজব ও ভিত্তিহীন বলে আগেই খারিজ করে দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.