সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান ও ইজরায়েলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কেমন, তা সকলেরই জানা। কিন্তু, তা বলে মেঘ ও বরফ চুরির অভিযোগ! ইজরায়েলের বিরুদ্ধে এমনই আজব অভিযোগ করেছেন ইরানের সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম রেজা জালালি। তাঁর দাবি, প্রযুক্তি সাহায্যে ইজরায়েল নাকি ইরানের প্রাপ্য মেঘ ও বরফ চুরি করে নিচ্ছে! তাই সেদেশে ভয়াবহ খরা দেখা দিয়েছে। জল পাচ্ছেন না ইরানের মানুষ।
[কনসার্টে প্রিয় গায়ককে আলিঙ্গন করে গ্রেপ্তার সৌদি মহিলা]
টাকা পয়সা তো বটেই, বেআইনিভাবে অন্য দেশের ভূ-খণ্ডও দখল করা সম্ভব। ঠিক যেমনভাবে কাশ্মীরের কিছুটা অংশে পাকিস্তান নিজেদের নিয়ন্তণে রেখেছে। কিন্তু, মেঘ কিংবা বরফ কীভাবে চুরি করা যায়? ইরানের সেনাপ্রধানের ব্যাখ্যা, ইজরায়েল বরাবরই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পশ্চিমী দেশগুলির মতোই উন্নত। কৃত্রিমভাবে মে্ঘ ফাটিয়ে বৃষ্টি নামানোর কৌশল রপ্ত করেছে তারা। সমুদ্রের নোনা জলকে পরিশোধন করে পানীয় জলে পরিণত করতে ফেলতে পারে। সে্ই প্রযুক্তিই ব্যবহার করে ইরানের ভাগের মেঘ ও বরফও চুরি করে নিচ্ছে ইজরায়েল!
গত তিন চার বছর ধরে ইরানের আবহাওয়া উল্লেখযোগ্যরকমভাবে পালটে গিয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে খুবই কম। নদীগুলি শুকিয়ে গিয়েছে। জলের অভাব এতটাই যে, খরা চলছে তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে। কিন্তু, হঠাৎ করে কেন এতটা বদলে গেল আবহাওয়া? কারণ অনুসন্ধানে নেমেছেন ইরানের আবহাওয়াবিদরা। সেনাপ্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম রেজা জালালির দাবি, ইরান ও লাগোয়া অঞ্চলের আবহাওয়ার বদল ঘটাতে যৌথভাবে উদ্যোগ নিয়েছে ইজরায়েল ও সৌদি আরব। তাই ইরানে আকাশ মেঘ জমছে, কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে না। মেঘ ও বরফ চুরি হয়ে যাচ্ছে! যদিও সেনাপ্রধানের অভিযোগ একেবারেই মানতে নারাজ ইরানের আবহাওয়া দপ্তর। দপ্তরের প্রধান আহাদ ভাজিফ সাফ কথা, ‘জেনারেল জালালির কাছে সম্ভবত এমন কিছু তথ্য রয়েছে, যা আমি জানি না। তবে জলবায়ু সম্পর্কিত জ্ঞানের ভিত্তিতে বলতে পারি, কোনও দেশের পক্ষেই মেঘ অথবা তুষারপাত চুরি করা অসম্ভব।‘ এদিকে আবার জলকষ্ট ও খরা কাটাতে আন্টার্কটিকা থেকে হিমশৈল আনার ব্যবস্থা করছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
[মাদার টেরিজা ভণ্ড, হোমে শিশুচুরির ঘটনায় বিস্ফোরক তসলিমা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.