ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই বছরই আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মসনদে কি ফিরবেন বাইডেন? নাকি ট্রাম্প হাসবেন শেষ হাসি? এই নিয়ে জল্পনার মাঝেই উঠে গেল নয়া প্রশ্ন। আদৌ কি মার্কিন মুলুকের শীর্ষস্থানীয় পদে বসার যোগ্য বর্ষীয়ান ডেমোক্র্যাট নেতা? আগেও বার বার তাঁর কথায় অসংলগ্নতা দেখা গিয়েছে। এবার হামাসের নামই ভুলে গেলেন বাইডেন! সোশাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা ভিডিও ঘিরে জল্পনা বাড়ছে।
গত মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বাইডেনকে (Joe Biden) প্রশ্ন করা হয় ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে পণবন্দি নিয়ে ‘দরাদরি’ প্রসঙ্গে। তার আগেই তিনি নতুন সীমান্ত সুরক্ষা বিল নিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথার খেই হারিয়ে ফেলতে দেখা যায় বাইডেনকে। অশীতিপর রাজনীতিক বলতে থাকেন, ”যে আন্দোলন হচ্ছে, সেটা আমি চাই না। আমাকে একটু ভাবতে দিন… একটা আন্দোলন… যেটা আসলে…” কার কথা বলছেন তিনি তা উপস্থিত কেউই বুঝতে পারছিলেন না। বেশ খানিক পরে তিনি বলেন, ”হ্যাঁ, মনে পড়েছে। আমি দুঃখিত। হামাসের কথা বলছিলাম।”
I’m attacked for being honest and saying the quiet part out loud – the part DC insiders only do in private.
I admire our President. I voted for him and campaigned for him. He has visited my home and been gracious to my family and our country.
But shame on all of you pretending… pic.twitter.com/OdaKvW7vbc
— Dean Phillips (@deanbphillips) February 6, 2024
প্রসঙ্গত, আগেও একাধিকবার নানা ভুল কথা বলেছেন বাইডেন। ইউক্রেনের নাগরিকদের ইরানি বলে অভিহিত করা কিংবা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে ‘ভ্লাদিমির’ বলা অথবা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের নাম গুলিয়ে ফেলার মতো ঘটনা তাঁকে বার বার ঘটাতে দেখা গিয়েছে। এবার হামাসের (Hamas) নামই ভুলতে বসেছিলেন তিনি। কেউ একজন তাঁকে নামটি নাম মনে করিয়ে দিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
স্বাভাবিক ভাবেই ৮১ বছরের বাইডেনের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আশঙ্কা, স্মৃতিভ্রংশের অসুখ ক্রমেই জাঁকিয়ে বসছে তাঁর শরীরে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্য ডিন ফিলিপস আগেও বাইডেনের মনোনয়ন নিয়েই প্রশ্ন তুলে সমালোচিত হয়েছিলেন। তিনি এবার এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ”সৎ থাকার কারণে আমাকে আক্রমণ করা হয়েছিল। আমি আমাদের প্রেসিডেন্টকে সম্মান করি। ওঁকেই ভোট দিয়েছিলাম এবং প্রচারও করেছিল। আমার বাড়িতে উনি এসেছিলেন। কিন্তু আপনারা যেভাবে ভান করছেন, সব ঠিক আছে, সেজন্য সকলের লজ্জিত হওয়া উচিত। উনি একটা সমস্যায় পড়েছেন। আর আপনারা সবাই সেটা জানেন।” নেটিজেনরাও ভিডিওটি দেখে প্রশ্ন তুলেছেন, কী করে বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াতে দেওয়া যায়। প্রশ্ন উঠেছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার ন্যূনতম বয়স যদি থেকে থাকে তাহলে সর্বোচ্চ বয়স নেই কেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.