Advertisement
Advertisement
পাকিস্তান

ঘরোয়া রাজনীতি! মোদির শপথগ্রহণে আমন্ত্রণ না পেয়ে সাফাই পাকিস্তানের

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন 'বিমস্টেক' অন্তর্ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা।

Internal politics stopped Modi from inviting Imran for swearing-in: Pak
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 29, 2019 11:58 am
  • Updated:May 29, 2019 11:58 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙবে, তবুও মচকাবে না। বারবার কূটনৈতিক যুদ্ধে পরাজয়ের পরও একগুঁয়ের মতো আচরণ করছে পাকিস্তান। ৩০ মে নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আমন্ত্রণ না পাওয়াকেও একইভাবে লঘু করতে চাইল ইসলামাবাদ। তাদের দাবি, এমনটাই তো প্রত্যাশিত ছিল। ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতি’র জন্যই নাকি মোদি এমন পদক্ষেপ করেছেন। এর পিছনে তাঁদের বার্তা দেওয়ার কোনও বিষয় নেই। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রথমবার শপথের সময়ে সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। সেই সুবাদে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। তবে এবার কূটনৈতিক কারণেই পাকিস্তানকে দূরে রাখা হয়েছে বলে খবর।

[আরও পড়ুন: ‘প্রজেক্ট হারভেস্ট’, পাকিস্তানের নিশানায় ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা]

Advertisement

বৃহস্পতিবার, ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী পদে দ্বিতীয়বার শপথ নেবেন মোদি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ‘বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কো-অপারেশন’-এর (বিমস্টেক) অন্তর্ভুক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এই আন্তর্জাতিক সংগঠনে পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত নয়। এখানে রয়েছে ভারত-সহ বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভুটান এবং নেপাল। ভারতে আসার অনুরোধ জানিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে কিরঘিজস্তান ও মরিশাসের রাষ্ট্রপ্রধানকেও। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, ‘যা হয়েছে, তা সরকারের প্রতিবেশী প্রথম নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই।’ যদিও ভোটের ফল বেরনোর পর টুইট করে, ফোনে মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ইমরান। এমনকী, আলোচনায় বসতে তৈরি বলে ইঙ্গিতও দেয় পাকিস্তান। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনও কাজ হল না। তারপরই বিষয়টিকে লঘু করার চেষ্টা শুরু হয়ে যায় ইসলামাবাদে।

এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির দাবি, গোটা নির্বাচনেই পাক-বিরোধী প্রচার চালিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা এবং প্রত্যুত্তরে বালাকোটে ভারতের বায়ুসেনা বাহিনীর অভিযানের সাফল্য তুলে ভোটের বাজার সরগরম করে রেখেছিলেন তিনি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান খানকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয় বলেই মনে করছে পাকিস্তান। কুরেশির কথায়, “এমনটাই তো আমাদের প্রত্যাশিত ছিল।” পাক দৈনিক ‘ডন’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাক বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “ওঁর ভোটের প্রচারের ফোকাসটাই ছিল পাকিস্তানকে শূলে চড়ানো। পাকিস্তানকে তুলোধোনা করা। সেই পথ থেকে উনি এত তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসবেন, এটা আশা করাটাই হবে অবিবেচকের কাজ।”

[আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তদের হামলা, ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পাকিস্তানের শতাব্দী প্রাচীন গুরুনানক সৌধ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement