সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান পেরিয়ে এবার আফগানিস্তানে শিকড় মজবুত করছে চিন। মার্কিন সেনা সরতেই দেশটিতে খনিজ সম্পদ আহরণে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং। যা নিয়ে ইতিমধ্যে নাকি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে! তালিবানের সঙ্গে আমেরিকার তিক্ত সম্পর্ককে হাতিয়ার করেই আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে জিনপিং প্রশাসন। অন্যদিকে, বেজিংয়ের এই পদক্ষেপে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নয়াদিল্লির। কারণ, আফগানিস্তানে ভারতের বিনিয়োগ কমকিছু নয়।
সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলারের সাতটি খনি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে আফগানিস্তানের তালিবান শাসকরা। এ বিষয়ে তালিবানের অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রকের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার আবদুল ঘানি বারাদার আখুন্দ বলেছে, “খনি চুক্তিগুলির মাধ্যমে দেশে হাজার হাজার কর্মসংস্থান হবে এবং আর্থিক উন্নতি হবে।” যে যে সংস্থাগুলির সঙ্গে কাবুলের চুক্তি হয়েছে সেগুলিকে স্থানীয় কোম্পানি বলে দাবি তালিবান প্রশাসনের। কিন্তু এই কোম্পানিগুলির শিকর রয়েছে চিন, ইরান ও তুরস্কের মতো দেশে। ফলে আফগানিস্তানে আধিপত্য বিস্তার করার ‘চৈনিক চাল’ স্পষ্ট।
বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সরতেই ফাঁকা মাঠে নেমে পড়েছে চিন (China)। দেশটিতে মজুত বহুমুল্য ধাতুর সন্ধানে আগেও পরীক্ষনিরীক্ষা চালিয়েছিল বেজিং। এই মুহূর্তে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় আফগানভূমে আধিপত্য বিস্তার করার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে জিনপিং প্রশাসন। অন্যদিকে, আফগানিস্তানের এই পদক্ষেপ উদ্বিগ্ন ভারত। কারণ পাহাড়ি দেশটিতে প্রচুর লগ্নি রয়েছে নয়াদিল্লিরও। জিনপিং প্রশাসন যদি তালিবানের সঙ্গে হাত মেলায় তাহলে তাদের মদতে খর্ব হবে ভারতের ক্ষমতা। তাছাড়া, চিনের উসকানিতে তালিবানের মদতে সন্ত্রাসবাদীরা ভারতকে অশান্ত করে তোলার চেষ্টা চালাতে পারে।
উল্লেখ্য, টুইন টাওয়ার হামলার পর আফগানিস্তানে প্রায় দুই দশক ধরে যুদ্ধ করেছে আমেরিকা। অবশেষে ২০২১ সালে সেখান থেকে আমেরিকা সেনা প্রত্যাহার করলে ক্ষমতা দখল করে তালিবান। তারপর থেকেই কাবুলিওয়ালার দেশে শুধুই রয়েছে অরাজকতা। জেহাদিদের অত্যাচারে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে নিরীহ আফগানদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.