সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর আমলে পাকিস্তানের (Pakistan) দুর্দশা যে চরম অবস্থায় পৌঁছেছে, একথা বিরোধীরা দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছে। এবার জানা গেল, তাদের অভিযোগ নেহাত অমূলক নয়। মুদ্রাস্ফীতির নয়া নজির গড়ল পাকিস্তান। ইমরানের খানের (Imran Khan) আমলে মুদ্রাস্ফীতি ভেঙে দিল ৭০ বছরের রেকর্ড। সমস্ত খাবারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এর মধ্যে অন্যতম ঘি, পোলট্রি, তেল ও ময়দাজাত খাবার।
পাক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ’-এর এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গত ৩ বছরে এই নয়া নজির গড়েছে পাক প্রশাসন। ‘ফেডেরাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিস্টিক্স’-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের অক্টোবরে যেখানে পাকিস্তানে ইউনিটপিছু বিদ্যুতের মূল্য ছিল ৪.০৬ টাকা, তা বেড়ে ৬.৩৮ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ এই তিন বছরে তা বেড়েছে ৫৭ শতাংশ। এদিকে ১১.৬৭ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৫৩৬ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩২২ টাকা। পাশাপাশি লিটার পিছু পেট্রলের দাম ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৮ টাকা ৭৩ পয়সা।
কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে খাদ্যসামগ্রীর দাম। তিন বছরে ঘিয়ের দাম ১০৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫৬ টাকা। এদিকে চিনির দাম ৮৩ শতাংশ বেড়ে ৩ বছরের ব্যবধানেই প্রতি কেজি ৫৪ টাকা থেকে ১০০ টাকা হয়েছে। ময়দার কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ টাকা। একই ভাবে চিনাবাদাম, মুসুর ডালের দাম যথাক্রমে ১৬২ টাকা, ১৮০ টাকা বেড়েছে। ছোলার ডালের দাম বেড়েছে ২৩ শতাংশ। বিপুল দাম বেড়েছে মাংসেরও। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে ৪৮ শতাংশ। পাঁঠার মাংসের দাম বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। মাত্র তিন বছরেই এভাবে পাকিস্তানের আমজনতার হেঁসেলে কার্যত আগুন লেগে গিয়েছে। ফলে নাভিশ্বাস সেদেশের সাধারণ মানুষের।
গোটা বিশ্বে এমনিতেই সন্ত্রাসের আশ্রয়দাতা হিসেবে কোণঠাসা ইমরান খানের (Imran Khan) দেশ। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগে ঢুকতে হয়েছে এফএটিএফের (FATF) ধূসর তালিকাতে। এদিকে মূল্যবৃদ্ধির ধাক্কায় দেশের মধ্যেও দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ফলে ঘরে-বাইরে এভাবেই দিশেহারা ইমরান খান।
[আরও পড়ুন: ৬ মাসের মধ্যেই আমেরিকায় হামলা চালাতে পারে আইএস! আশঙ্কা মার্কিন গোয়েন্দাদের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.