সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর জাপানে অনুষ্ঠিত কোয়াড বৈঠকে চিন বিরোধী সুর বেঁধে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার পাশাপাশি জাপান, অস্ট্রেলিয়া-সহ একাধিক দেশ যে প্রবল ‘ড্রাগন’ ভীতিতে ভুগছে তা স্পষ্ট। এহেন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগরে ফের সামরিক মহড়া চালাল ভারত।
১৭ থেকে ১৮ মে দক্ষিণ চিন সাগরে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে নৌ মহড়া চালায় ভারতীয় নৌসেনা (Indian Navy)। এর পোশাকি নাম ‘সমুদ্র শক্তি’। যৌথ মহড়ার চতুর্থ সংস্করণে অংশ নেয় ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ আইএনএস কাভারাত্তি, চেতক হেলিকপ্টার এবং একটি ডোর্নিয়ার ম্যারিটাইম পেট্রল বা নজরদারি বিমান। ইন্দোনেশিয়ার তরফে অংশ নেয় যুদ্ধজাহাজ কেআরআই সুলতান ইসকান্দর মুদা। এই জটিল মহড়ায় শত্রুপক্ষের সাবমেরিন ধ্বংস করা থেকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম চালনা সংক্রান্ত একাধিক কৌশল ঝালিয়ে নেওয়া হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই মহড়া চিনকে কড়া বার্তা। দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের দাদাগিরি মানা হবে না বলেই বুঝিয়ে দিল নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চিন। এর জন্য ২০০৯ সাল থেকে সেখানে কৃত্রিম দ্বীপও তৈরি করেছে তারা। ফলে জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই সাগর দিয়েই প্রতিবছর ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয়। ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে এই রুটটি অত্যন্ত লাভজনক। এছাড়াও, এশিয়া মহাদেশে মার্কিন প্রভাব খর্ব করতে হলে সবার আগে দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন নৌবহরকে কাবু করতে হবে, তা ভালই জানে চিন। এখন আমেরিকার পাশাপাশি ভারতও সেখান রণতরী মোতায়েন করায় চাপে পড়েছে শি জিনপিংয়ের সরকার।
প্রসঙ্গত, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তারের স্বপ্ন রয়েছে লাল চিনের। বিশেষ করে দক্ষিণ চিন সাগর বরাবর অন্যান্য দেশকে চাপে রেখে নিজেদের কৃতিত্ব স্থাপন করতে চেয়েছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে বেজিং। প্রায় গোটা জলরাশিটাই নিজেদের বলে দাবি করে কমিউনিস্ট দেশটি। পালটা, সেখানে আণবিক শক্তি চালিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠিয়ে শক্তিপ্রদর্শন করছে আমেরিকা (America)। বিশ্লেষকদের মতে, ‘ড্রাগন’কে রুখতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.