সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর ইসলামাবাদকে ভাতে মারতে বেশকিছু বড় পদক্ষেপ নিয়েছে নয়াদিল্লি৷ ইতিমধ্যে, পাকিস্তানের থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ‘মোস্ট ফেভারড নেশনে’র তকমা৷ সেদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের শুল্ক বাড়িয়ে ২০০ শতাংশ করা হয়েছে৷ সূত্রের খবর, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে ব্যাপক চাপে পড়ছে পাকিস্তান৷ আটারি-ওয়াঘা বর্ডারে পরপর দাঁড়িয়ে পড়েছে কয়েকশো পণ্যবোঝাই ট্রাক৷ বর্ডার পেড়িয়ে এখনও এদেশে প্রবেশ করতে পারেনি ট্রাকগুলি৷ ফলে সীমান্তেই নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার পণ্য৷ এবং এর ব্যাপক প্রভাব পড়ছে পঙ্গু পাক অর্থনীতির উপর৷
[সিওল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ]
সূত্রের খবর, আটারি-ওয়াঘা বর্ডারে দাঁড়িয়ে থাকা বেশির ভাগ ট্রাকে রয়েছে সিমেন্ট ও ফল৷ এই দুটি পণ্যই ওদেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করে ভারত৷ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে পণ্য আমদানি৷ এবং কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে যুক্ত দেশের সংগঠনগুলি৷ এক সংগঠনের সদস্য রাজদীপ উপ্পাল জানিয়েছেন, সরকারের সিদ্ধান্তে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাঁদের৷ পাশাপাশি, সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন মধ্যপ্রদেশের ঝাপুয়া জেলার কৃষকরাও৷ সেখানকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন৷ তাঁরাও জানিয়েছেন, পাকিস্তানে টমেটো রপ্তানি করবেন না৷ রবীন্দ্র পাতিদর নামের এক কৃষক বলেন, ‘‘আমরা কষ্ট করে চাষ করি৷ আমাদের চাষের টমেটো পৌঁছে যায় পাকিস্তানে৷ তা খেয়ে আমাদের জওয়ানদেরই হত্যা করছে পাকিস্তান৷ এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য, পাকিস্তানের বরবাদি৷’’ পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ সবজি যায় দিল্লির আজাদপুর মান্ডি থেকে৷ সেখানকার টমেটো ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক কৌশিক জানিয়েছেন, ৭৫ থেকে ১০০ ট্রাক টমেটো পাকিস্তানে রপ্তানি করেন তাঁরা৷ কিন্তু পাক মদতে পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর, সমস্ত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
[পুলওয়ামা ইস্যুতে প্রবল চাপে পাকিস্তান, এবার মুখ ফেরাল ‘বন্ধু’ চিন]
সমীক্ষা বলছে, প্রত্যেক বছর পাকিস্তান থেকে ১১২.৮ মিলিয়ন ডলার অর্থের ফল আমদানি করে ভারত৷ সিমেন্ট আমদানি করা হয় ৭৮.৩ মিলিয়ন ডলার অর্থের৷ এছাড়া রাসায়নিক সামগ্রী ও সার আমদানি করা হয় যথাক্রমে ৬০.৪ মিলিয়ন ডলার অর্থের ও ৩৪.৯ মিলিয়ন ডলার অর্থের৷ ২০১৪ থেকেই আটারি-ওয়াঘা বর্ডার দিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানির হার কমতে শুরু করেছে৷ ২০১৪-১৫ সালে ওই বর্ডার দিয়ে ২১১৭ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে ভারত৷ তুলনায় ২০১৮-১৯ এ সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ১৩১ কোটি টাকা৷ একই ভাবে, ২০১৪-১৫ সালে ওই বর্ডার দিয়ে ২৩৬৮ কোটি টাকার পণ্য আমদানি করেছে ভারত৷ তুলনায় ২০১৮-১৯ এ সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৭২১ কোটি টাকা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.