সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে কালো টাকার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দাবি করেছিলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিদেশে গচ্ছিত ভারতীয়দের কালো টাকা ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বিদেশ থেকে টাকা ফেরা তো দূরের কথা, সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। সুইস ব্যাংকের বার্ষিক হিসেব বলছে ২০২০ সালে শুধু ভারতীয়দের জমা আমানতের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। যা কিনা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০১৮ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের গচ্ছিত টাকার অঙ্ক ছিল ১২,৬১৫ কোটি টাকা। যা একধাক্কায় অনেকটা কমে যায় ২০১৯ সালে। ২০১৯ সালের শেষে সুইস ব্যাংকে (Swiss Bank) ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৮৯৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ। ভারতীয় মুদ্রায় ৬ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। সেখান থেকে ২০২০ সালে একলাফে এই আমানতের পরিমাণ এতটা বাড়ল। এর আগে ২০০৬ সালে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের আমানতের পরিমাণ ছিল ৬.৫ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ (Swiss Frank)। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। তারপর থেকে ২০১১, ২০১৩ এবং ২০১৭ সাল ছাড়া প্রতিবছরই এই জমার পরিমাণ কমেছে। এবারে ফের রেকর্ড হারে বাড়ল ভারতীয়দের জমার পরিমাণ। উল্লেখ্য, এটি সুইস ব্যাংকের ভারতীয় শাখা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বা বিভিন্ন ট্রাস্ট, বন্ড, Security Money বাবদ যে অর্থ সুইস ব্যাংকে জমা পড়েছে, তার হিসেব। শুধু নগদে জমা অবশ্য আগের তুলনায় কমেছে।
প্রসঙ্গত, এই যে জমার হিসেব বলা হচ্ছে এটা সরকারি হিসেবে। এর বাইরেও ডামি অ্যাকাউন্ট বা ডামি সংস্থার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে বহু ভারতীয় সুইস ব্যাংকে টাকা রাখেন। আবার এদের বাইরে প্রবাসী ভারতীয়রা বৈধ ভাবেও সেখানে টাকা রাখেন। সুতরাং এই হিসেব দেখে কালো টাকার পরিমাণ জানা অসম্ভব। তবে, সুইস ব্যাংকে কোন কোন ভারতীয়দের অ্যাকাউন্ট আছে, কারা কারা কত অর্থ জমা রেখেছেন,সে হিসেব কেন্দ্রকে অনেক আগেই তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্বের ৮৬টি দেশের নাগরিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সেই দেশের সরকারকে জানায় সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কোন কোন দেশের নাগরিক ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে, সে সম্পর্কে তথ্য দেয় সুইজারল্যান্ড ফেডারেল ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এই তালিকায় রয়েছে ভারতও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.