মেনুতে নরমাংস! গুজবে বন্ধ হতে চলেছে ভারতীয় রেস্তোরাঁ

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগে বিরিয়ানির গন্ধ প্রতিবেশীদের পছন্দ না হওয়ায় মোটা টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছিল ইংল্যান্ডের এক ভারতীয় রেস্তোরাঁর মালিককে৷ এবার গুজবের জেরে গোটা একটা রেস্তোরাঁই উঠে যেতে বসেছে৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনে। ‘কারি টুইস্ট’ নামে ওই রেস্তোরাঁয় নাকি নরমাংস বিক্রি হয়। আর এই গুজবেই বিপাকে পড়েছেন সেটির মালকিন শিনরা বেগম৷ গুজবের উৎস একটি কৌতুক সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু এর জেরে ইতিমধ্যে জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে৷ সাধারণ মানুষ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে৷ সেই সঙ্গে রয়েছে পুলিশি তলব ও জিজ্ঞাসাবাদের ধাক্কাও। এমনটাই জানিয়েছেন শিনরা৷

[বিগ বি নন, ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র সঞ্চালক এবার ঐশ্বর্য!]

ইংল্যান্ডে গত ৬০ বছর ধরে রেস্তোরাঁ ব্যবসা করছেন শিনরা৷ তিলে তিলে অর্জন করা সুনাম ও প্রতিষ্ঠা যে এত সহজে টলে যেতে পারে তা তিনি ভাবতেও পারেননি৷ অধিকাংশ মানুষই ফোন করে ধমকাচ্ছেন৷ বলছেন, কোন সাহসে রেস্তোরাঁয় মানুষের মাংস খাওয়াচ্ছি৷ পরিস্থিতি এরকম জটিল আকার ধারণ না করলে হয়তো এই রকম একটা গুজবে হেসেই ফেলতাম৷ কিন্তু সাধারণ মানুষ রসিকতায় মজা না পেয়ে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিনরা বেগম৷ সবচেয়ে বড় কথা, কৌতুক সংবাদ সাইটটিতে যে নাম-পরিচয়হীন ব্যক্তিরা তাঁদের ভুয়া গল্প জমা দিতে পারেন ও পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হয় এ কথা প্রায় সকলেরই জানা৷ তবু সেই ভুয়া খবরের জেরে ৬০ বছরের রেস্তোরাঁ ব্যবসা লাটে না ওঠে, সেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘কারি টুইস্ট’-এর মালকিন৷

[আর্থিক কারচুপিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইন আনছে কেন্দ্র]

‘এশিয়ান রেস্টুরেন্ট শাটডাউন ফর ইউজিং হিউম্যান মিট’ শিরোনামে ফেসবুকে যে খবরটি শেয়ার করা হয়েছিল তাতে অবশ্য রেস্তোরাঁর নাম ‘নিউ ক্রস’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ পাশাপাশি মালিক হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে রঞ্জন পটেলকে৷ কৌতুক সংবাদে বলা হয়েছে, খাবার হিসাবে মানুষের মাংস পরিবেশন করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে রেস্তোরাঁর মালিককে৷ সেই সঙ্গে মাংস হিসাবে ব্যবহারের জন্য বরফে জমানো ন’টি মানুষের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্তোরাঁর মালিককে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেস্তোরাঁটি৷ এই ভুয়া খবরটিতে ব্যাকরণগত ও অসংখ্য বানান ভুল থাকলেও তাই মানুষ বিশ্বাস করে নিয়েছে বলে জানান শিনরা৷ যার প্রভাব পড়েছে ব্যবসার উপর৷ ইতিমধ্যেই রেস্তোরাঁর খদ্দের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে৷ ফলে কর্মচারীদের কাজের সময় কমিয়ে দিতে হয়েছে৷ সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষের হুমকি ও পুলিশি জেরার ধাক্কা তো রয়েছে৷ আদৌ এই সমস্যা মিটবে কি না এবং রেস্তোরাঁ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে কি না তা নিয়েই এখন সংশয়ে রয়েছেন গুজবে জেরবার শিনরা৷

[হজ না শিক্ষা কোথায় প্রয়োজন ভর্তুকি? জনতার থেকে জানতে চাইল কেন্দ্র]