সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন কলকাতা পুলিশকে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের (Scotland Yard) সঙ্গে তুলনা করা হত। কেবল কলকাতা পুলিশই নয়, সারা বিশ্বের পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটা ‘বেঞ্চমার্ক’ ছিল ব্রিটিশ (UK) নিরাপত্তা সংস্থা। এবার সেই প্রায় দুই শতাব্দীপ্রাচীন সংস্থার শীর্ষপদে বসতে পারেন এক বঙ্গসন্তান! তেমনই সম্ভাবনা ক্রমে জোরাল হয়ে উঠছে। এই বঙ্গসন্তানের নাম অনিলকান্তি ওরফে নীল বসু।
১৮২৯ সালে স্থাপিত হয়েছিল স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। সংস্থার প্রথম মহিলা শীর্ষকর্তা ডেম ক্রেসিডা ডিক এই সপ্তাহেই পদত্যাগ করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গুন্ডামি, বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্য ও খারাপ আচরণের মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে। শেষ পর্যন্ত বাধ্যত সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। ডেমের জায়গাতে নীলের সম্ভাবনাই ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে ৫৩ বছরের নীল লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (অপারেশন স্পেশালিস্ট) পদে আসীন রয়েছেন।
নীল বঙ্গসন্তান হলেও তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা ব্রিটেনেই। তাঁর বাবা ছিলেন একজন শল্য চিকিৎসক। গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে তিনি কলকাতা ছাড়েন। তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় এক ব্রিটিশ নার্সের। নীল বসু নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক। ১৯৯২ সালে তিনি পুলিশে যোগ দেন। দ্রুতই পদোন্নতি হয়ে ক্রমেই শীর্ষপদের দিকে উঠে আসতে দেখা যায় তাঁকে। এযাবৎ তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে জনপ্রিয় কীর্তি হল জঙ্গি উসমান খানকে খতম করে লন্ডন ব্রিজে সন্ত্রাসের ছক বানচাল করে দেওয়া।
যদি সত্য়িই শেষ পর্যন্ত নীল শীর্ষ ক্ষমতা পান, তাঁর কাজ যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ এই মুহূর্তে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড তথা লন্ডন পুলিশ বাহিনী বড়সড় বিতর্কের মধ্যে রয়েছে। যার কেন্দ্রে রয়েছে ডেমের বিরুদ্ধে ওঠা একাধিক অভিযোগ। পুলিশের এই ভাবমূর্তি সাফ করাই লক্ষ্য হবে নীলের। যদিও তাঁর অনেক প্রতিদ্বন্দ্বীও রয়েছেন। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত তাঁদের টেক্কা দিয়ে এক বঙ্গসন্তান এই দায়িত্বে উন্নীত হন কিনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.