সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ব্রিটেনে জাতিবিদ্বেষ বাড়ার অভিযোগ উঠেছে৷ তারই শিকার হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মহিলা সাংবাদিক৷ নিজের শহরেই এমন হেনস্তার মুখে পড়ে অপমানিত সীমা কোটেচা নামে ওই মহিলা৷
গণভোটে ব্রেক্সিটের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকেই এই বিদ্বেষের প্রসঙ্গ মাথাচাড়া দিয়েছিল৷ অনাবাসী ভারতীয়রাও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়েছিলেন৷ তা যে কতটা সত্যি তা এই ঘটনাই প্রমাণ করল৷ সীমা কোটেচা নামে ওই সাংবাদিক বিবিসি-র হয়ে সাংবাদিকতা করেন৷ ‘ব্রেক্সিট’ নিয়ে রিপোর্টিং করার সময়ই তাঁর প্রতি অশ্লীল মন্তব্য করেন কেউ কেউ৷ তাঁকে ‘পাকি’ বলে অভিহিত করা হয়৷ দক্ষিণ এশিয়ার মানুষদের অপমান করতেই এই কথা প্রচলিত সেখানে৷ জন্মসূত্রে ভারতীয় হলেও সীমার বেড়ে ওঠা থেকে চাকরি দক্ষিণ ইংল্যান্ডেই৷ সেখানেই এমনটা যে ঘটতে পারে তা কল্পনাই করেননি সীমা৷ নিজের শহরের মানুষেরই আচমকা এই ব্যবহার বদলে তিনি যারপরনাই হতবাক৷
বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও তাঁর বিদায়ী ভাষণে এই বিদ্বেষের আশঙ্কা করেছিলেন৷ তিনি আশা করেছিলেন, এরকম কোনও পরিস্থিতি যেন দেশে দেখা না দেয়৷ বাইরে থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁরা যে সে দেশের সমৃদ্ধিতেও অবদান রেখেছেন এ কথা বারবার মনে করিয়ে দেন ক্যামেরন৷ কিন্তু তাঁর বক্তব্যে যে সুবুদ্ধি উদয় হয়নি এ ঘটনা তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল৷ মহিলা সাংবাদিকের হেনস্তার ঘটনার পাশাপাশি এক মুসলিম কসাইখানার মালিকের উপরও আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে৷ কারা এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তা দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ তবে পুরোটাই মানুষের সহানুভূতির উপর নির্ভর করছে৷ ব্রেক্সিটের মতো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত জনজীবনের ভরকেন্দ্রটি নাড়িয়ে না দিক, এমনটাই কামনা করছেন সকল শ্রেণির শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.