ভারতীয় রণতরী আইএনএস শারদা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের সমুদ্রে জলদস্যুদের পরাস্ত করল ভারতীয় নৌসেনা। সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের নিশানধারী একটি মাছ ধরার জাহাজ। খবর পেয়েই সেটি উদ্ধারের জন্য পৌঁছে যায় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সারদা। পাকিস্তানি ও ইরানীয় নাবিক মিলে মোট ১৯ জন ছিলেন জাহাজটিতে।
জানা গিয়েছে, গত ৩১ জানুয়ারি নৌসেনার কাছে খবর আসে ইরানের নিশানধারী মাছ ধরার জাহাজ ওমারি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালিয়ে অপহৃত জাহাজটির হদিশ মেলে। সঙ্গে সঙ্গে সেটি উদ্ধারের জন্য এগিয়ে যায় ভারতীয় রণতরী আইএনএস সারদা। নৌসেনা সূত্রে খবর, ওই মাছ ধরার জাহাজটিতে ৭ জন দলদস্যু ছিল। তারা জাহাজের নাবিকদের পণবন্দি করে নিয়েছিল। শুক্রবার ভোরে সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে অপহৃত জাহাজটি আটকে দেন নৌসেনার জওয়ানরা। জলদস্যুদের বাধ্য করেন নাবিকদের ছেড়ে দিতে। জাহাজটি উদ্ধারের পর ভালো করে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন নৌসেনার শীর্ষ আধিকারিকরা। সকল নাবিকদের শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়।
নৌসেনার তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘সমুদ্রে জলদস্যু দমন অভিযানে ও সামুদ্রিক নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ফের একবার সাফল্য লাভ করেছে নৌসেনা। নাবিকদের প্রাণরক্ষায় ও জাহাজগুলোর সুরক্ষায় নৌসেনা সর্বদা এগিয়ে যাবে।” ওই অপহৃত জাহাজটিতে পাকিস্তানের ৮ জন ও ইরানের ১১ জন নাবিক ছিলেন। জলদস্যু দমন অভিযানের জন্য ওই অঞ্চলে মোতায়েন করা থাকে ভারতীয় রণতরী আইএনএস সারদা।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি আরব সাগরে জলদস্যুদের হাত থেকে ১৯ পাকিস্তানি নাবিককে উদ্ধার করে ভারতীয় নৌসেনার রণতরী আইএনএস সুমিত্রা। সোমালিয়ার সশস্ত্র জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের নিশানবাহী মাছ ধরার জাহাজ আল নাইমি। কিন্তু নৌসেনার তৎপরতায় সকলে রক্ষা পান। গত এক সপ্তাহের মধ্যে জলদস্যু অভিযানে মোট ৩৬ জন নাবিককে উদ্ধার করেন নৌসেনার জওয়ানরা।
এর কয়েকদিন আগেই এডেন উপসাগরে মার্শাল আইল্যান্ডের নিশানবাহী বাণিজ্যতরী এমভি জেনকো পিকার্ডির উপর ড্রোন হামলা হয়। আক্রান্ত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সাহায্য চাওয়া হয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। খবর পেয়েই জাহাজটিকে উদ্ধারে দ্রুত পৌঁছে যায় আইএনএস বিশাখাপত্তনম। ওই জাহাজটিতে ২২ জন নাবিক ছিলেন। যার মধ্যে ৯ জন ভারতীয়ও ছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.