ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের জমা অর্থের পরিমাণে ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। সদ্য প্রকাশ্যে আসা এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা’র মোদি সরকারের দাবি নস্যাৎ করে ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকগুলিতে ভারতীয় মুদ্রার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা।
Agreement between India & Switzerland has this. From January 1 2018 till end of accounting year, all data will be made available. So why assume this is black money or illegal transactions?: Piyush Goyal on reports that money parked by Indians in Swiss banks rose 50% in 2017 pic.twitter.com/Gui44RaCBe
— ANI (@ANI) June 29, 2018
জুনের ২৮ তারিখ সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং সংস্থা এসএনবি-র প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে এসেছে এই তথ্যগুলি। নোট বাতিলের পর বিদেশে থাকা ‘কালা ধন’ ফেরত আসবে বলেই দাবি ছিল কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের। ২০১৫-১৬ সালে কিছুটা আশার সঞ্চার করে সুইস ব্যাংকে জমা কালো টাকার পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকগুলিয়ে ভারতীয়দের জমা টাকার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ৭ হাজার কোটি। তুলনামূলকভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ। সব মিলিয়ে ২০১৭ সালে সুইস ব্যাংকগুলিতে জমা রয়েছে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুইস ব্যাংকে পাকিস্তানিদের জমা অর্থের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। যদিও মোট অর্থের পরিমাণে তা ভারতের থেকে বেশি।
অর্থমন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, কালো টাকার উপত নজর রাখছেন তদন্তকারীরা। যদিও এই মুহূর্তে ঠিক কতো টাকা বিদেশের ব্যাংকগুলিতে রয়েছে তা বলা শক্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানান, চুক্তি মোতাবেক ২০১৮ সালের সমস্ত তথ্য সরকারের হাতে তুলে দেবে সুইজারল্যান্ড। তাই জমা টাকার পরিমাণ নিয়ে এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আয় বহির্ভূত টাকা জমা রাখার জন্য ভারতীয়রা সব থেকে বেশি পছন্দ করে সুইস ব্যাংকগুলিকে। গ্রাহকদের তথ্য গোপন রাখতে ওই ব্যাংকগুলির জুড়ি মেলা ভার। ফলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির নজর এড়িয়ে কালো টাকা সহজেই সেখানে জমানো যায়। যদিও নোট বাতিলের পর সুইস সরকারের কাছে ভারতীয়দের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। এই মর্মে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয় দু’দেশের মধ্যে। তবে তার বাস্তবায়ন আজও প্রশ্নের মুখে।
[আমেরিকায় সংবাদপত্রের অফিসে বন্দুকবাজের হামলা, নিহত ৫]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.