ভারতীয় গবেষক মণিকর্ণিকা দত্ত।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়ম ভাঙার অভিযোগে ব্রিটেন থেকে বহিষ্কৃত হতে চলেছেন ভারতীয় গবেষক! ঔপনিবেশিক ভারতের গবেষক মণিকর্ণিকা দত্ত নামের এই অধ্যাপককে ১০ বছরের জন্য নির্বাসিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ব্রিটেন প্রশাসন। গবেষণার জন্য ভারতে অতিরিক্ত সময় থাকার অভিযোগেই এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে।
একদশকের বেশি সময় ধরে ব্রিটেনে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী ইতিহাস গবেষক মণিকর্ণিকা। কিন্তু কেন হঠাৎ তাঁর পদক্ষেপ ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের? জানা যাচ্ছে, ব্রিটেনের নিয়ম অনুযায়ী যাঁরা ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ব্রিটেনে থাকেন তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটির আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১০ বছরের মধ্যে সর্বাধিক ৫৮৪ দিন বিদেশে থাকা যেতে পারে। তবে অভিযোগ সেই নিয়ম অমান্য করেছেন মণিকর্ণিকা। ৫৮৪ দিনের পরিবর্তে ৬৯১ দিন ভারতে ছিলেন তিনি। অর্থাৎ নিয়ম ভেঙে অতিরিক্ত ১৪৩ দিন ব্রিটেনের বাইরে ছিলেন তিনি। যার জেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ইমেল পাঠিয়ে ব্রিটেন ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মণিকর্ণিকাকে।
জানা যাচ্ছে, ২০১২ সালে এডুকেশন ভিসা নিয়ে ব্রিটেন যান মণিকর্ণিকা। পরে সেখানে শিক্ষাবিদ শৌভিক নাহারকে বিয়ে করে সেখানেই স্থায়ী বসবাসের ভিসা পান। গত বছরের অক্টোবরে ব্রিটেনে অনির্দিষ্টকাল বসবাসের আবেদন করেন স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই। সেখানে শৌভিকের আবেদন মঞ্জুর হলেও মণিকর্ণিকার আবেদন খারিজ হয়। এরপর পুনরায় আবেদন জানানো হলেও, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, তাঁকে এখনই ব্রিটেন ছাড়তে হবে। অন্যথায় ১০ বছরের জন্য তাঁর ব্রিটেন আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।
ব্রিটেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে স্তম্ভিত মণিকর্ণিকা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি ১২ বছর ধরে ব্রিটেনে বাস করছি। সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি কখনও ভাবিনি আমার সঙ্গে এমনটা ঘটতে পারে।” এই ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন মণিকর্ণিকা। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, গবেষণার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষাগত প্রয়োজনে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য তাঁর ভারত যাওয়া একান্ত প্রয়োজনীয় ছিল। তা না হলে উনি নিজের গবেষণাপত্র শেষ করতে পারতেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.