সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ বাজেট পেশের আগেই সুখবর। আগামী আর্থিক বছরে ভারতের বৃদ্ধির হার বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিল আইএমএফ (IMF) বা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। পাশাপাশি ভারতের সাম্প্রতিক আর্থিক মন্দাকে বিপর্যয়ের তকমা দিতেও রাজি নন আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জিওরজিভা (Kristalina Georgieva)। বরং তাঁর কথায়, নন-ব্যঙ্কিং অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলির সমস্যা, পণ্য ও পরিষেবা কর চালু এবং নোট বাতিলের মতো পদক্ষেপের কারণে, ২০১৯-এ ভারতীয় অর্থনীতিতে অপ্রত্যাশিত মন্দা এসেছে।
শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিদেশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আইএমএফের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ভারতে সাধারণ বাজেট পেশের আগেই আশার কথা শোনান ক্রিস্টালিনা। তিনি বলেন, “২০১৯ ভারত অপ্রত্যাশিত মন্দার সম্মুখীন হয়েছে।যার জেরে গত বছর ভারতের বৃদ্ধির হার কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছিল। আমরা আশা করছি, ২০২০ সালে ভারতের বৃদ্ধির হার থাকবে ৫.৮ শতাংশ। ২০২১ সালে তা ৬.৫ শতাংশ হবে বলেও আশা করছি।”
এদিন ভারতের আর্থিক মন্দার কারণের নিয়েও কাটাছেঁড়া করেন তিনি। ক্রিস্টালিনার কথায়, “ভারত এমন কিছু আর্থিক সংস্কার করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের পক্ষে মঙ্গলজনক হবে। তবে তাদের কিছু স্বল্প মেয়াদি প্রভাবও রয়েছে।” তিনি নোটবাতিল, GST চালু করার প্রসঙ্গও টেনে আনেন। এগুলিকে ‘দূরদর্শী পদক্ষেপ’ বলে ভারত সরকারের প্রশংসা করেন আইএমএফ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তাঁর কথায়,”ভারত সম্পর্কে আইএমএফ-এর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।”
দেশের সাম্প্রতিক আর্থিক অবস্থা নিয়ে ক্রিস্টালিনা জিওরজিভা বলেন, “বর্তমান আর্থিক মন্দাকে বিপর্যয় বলা যায় না। আপনারা সেখান থেকে অনেকটা দূরে। তবে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মন্দা।” ভারতের আর্থিক মন্দা নিয়ে তাঁর বিশ্লেষণ, ভারতে ব্যয়ের পরিমাণও কমেছে এবং ফলে মন্দা এসেছে। ভারতের বাজেট নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।ভারতের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হয়নি। এনিয়ে ক্রিস্টালিনার মন্তব্য, “দেশ এটা জানে। অর্থমন্ত্রী এটা জানেন। তাঁদের বাজেট রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে, যাতে তাঁরা তাঁদের রাজস্ব বাড়াতে পারেন। আমার দেখতে হবে বাজেট কী হয়, আগামিকাল বাজেট পেশ হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.